সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘হিউম্যান লিউকোসাইটিক অ্যান্টিজেন’ ঠিক করে দেয় স্টেম সেল থেরাপির মাধ্যমে এইচআইভির (HIV) মতো মারণরোগ থেকে মুক্তির দিশা। অ্যাম্বিলিক্যাল কর্ডের (নাভিরজ্জু) রক্ত প্রতিস্থাপন করে এডস রোগী সুস্থ হয়ে ওঠার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। আর এই ঘটনায় আশার আলো দেখছেন রাজ্যের বিশেষজ্ঞরা।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয়, কর্ড ব্লাড ট্রান্সপ্ল্যান্ট। এতদিন এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত ছিল বিশ্বের চিকিৎসক মহল। কিন্তু ঘটনা হল, এডস রোগীর সুস্থ হয়ে ওঠার খবর প্রকাশ্যে আসতেই উৎসাহিত ভারত তথা রাজ্যের চিকিৎসক মহল।
মার্কিন মুলুকের এক মহিলা লিউকেমিয়া রোগে ভুগছিলেন। ২০১৩ সালে তাঁর এডস ধরা পড়ে। আবার ২০১৭ সালে অ্যাকিউট মায়েলজেনাস লিউকেমিয়া ধরা পড়ে। অ্যান্টিরেট্রভিয়াল থেরাপি চলার সময় কর্ড ব্লাড থেরাপির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের হেমাটোলজি অ্যান্ড ব্লাড ট্রান্সফিউশনের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. প্রসূন ভট্টাচার্যর কথায়, “অ্যাম্বিলিকাল কর্ডের রক্তে যে স্টেম কোষ থাকে তা এইচআইভি ভাইরাসের মিউটেশন বন্ধ করে দিতে পারে। তবে এই ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নেয় হিউম্যান লিউকোসাইটিক অ্যান্টিজেন।’ প্রসূনবাবুর কথায়, দাতা ও গ্রহীতার মধ্যে এইচএলএ ম্যাচ করলেই রোগী সুস্থ হবেন। যেমনটা ওই ক্ষেত্রে হয়েছে।” উল্লেখ্য, অস্ত্রোপচারের দু’সপ্তাহের মধ্যে রোগীকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এতদিন ধরে স্টেম সেল থেরাপি করা হত। এবার নতুন পদ্ধতি অ্যাম্বিলিক্যাল কর্ডের মাধ্যমে রোগমুক্তি রোগের বিরুদ্ধে নয়া অস্ত্র। কিন্তু প্রশ্ন হল, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ বা অন্য সরকারি হাসপাতালে এই পদ্ধতি কতটা সম্ভবপর? অধ্যাপক প্রসূন ভট্টাচার্যর কথায়, “মেডিক্যাল কলেজে তো অ্যাম্বিলিক্যাল কর্ডের মাধ্যমে অন্য রোগের চিকিৎসা হয়েছে। বাইরে থেকে আনা হয়েছে। আসলে এই উপাদান কতটা সাধারণ মানুষের আয়ত্তে থাকবে তার উপর নির্ভর করে।” মেডিক্যালের পরিকাঠামো ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক যে যথেষ্ট রয়েছেন তা ষ্পষ্ট করেছেন প্রসূনবাবু।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.