সিজন চেঞ্জের এই সময়টা সাবধানে থাকুন। পরামর্শে হোমিওপ্যাথি বিশেষজ্ঞ ডা. প্রকাশ মল্লিক। শুনলেন পৌষালী দে কুণ্ডু।
উত্তুরে হাওয়া বইছে। মাঝে মাঝেই ঠান্ডা বাতাসে শিরশির করে উঠছে শরীর। ঘুম থেকে উঠলেই কারও নাক বোজা, হালকা সর্দিভাব, একের পর এক হাঁচি দিয়ে কেউ ব্যতিব্যস্ত। কারও থেকে থেকেই বসে যাচ্ছে গলা। ম্যাজম্যাজে গা-হাত-পা। শীত আসছে। শরতের শেষ আর হেমন্তকাল শুরুর আগে প্রতি বছর এই সময়টা এমন ফ্যাঁচফ্যাঁচানি লেগেই থাকে। অসুবিধা এমন কিছু গুরুতর নয়। তবে সাধারণ সর্দি, কাশি, জ্বর, মাথা যন্ত্রণা, অ্যাজমার পাশাপাশি নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিসের ঝুঁকিও একটু থাকে। তাই বাচ্চাদের অবহেলা করা চলবে না। এই সব সমস্যার সাইড এফেক্টহীন চিকিৎসা চাইলে হোমিওপ্যাথি অব্যর্থ।
কখন কোন ওষুধ চলবে, রইল কয়েকটির তালিকা। তবে ডাক্তারের কাছে ডোজ জেনে তবেই ব্যবহার করতে হবে। কারণ, কখন কতটা ডোজের ওষুধ প্রয়োজন তা রোগীর নানা লক্ষণ দেখে নির্ধারণ করেন চিকিৎসক। তাই ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে নিজে নিজে ওষুধ খেলে বিপদ হতে পারে ভয়াবহ।
বাজির ধোঁয়া থেকে অ্যালার্জির প্রবণতা থাকলে বাজি পোড়ানোর জায়গায় যাওয়ার আগে এক ফোঁটা করে দু’বার খেয়ে নিন পোথোসফটিদাস। আর অ্যালার্জির প্রবণতা না থাকলেও বাজির ধোঁয়া থেকে দূষণে কষ্ট হলে এক ঘণ্টা ছাড়া খেতে হবে। এরপর একবার ডাক্তার দেখিয়ে নিতে হবে।
সতর্কতা
আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য বাতাসে জীবাণু ও ধূলিকণা বেড়ে গিয়েছে। ঠান্ডা লাগা এড়াতে ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করতে হবে। সারাদিন প্রচুর জলপান করুন। রাতে খেয়ে নিন তাড়াতাড়ি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.