Advertisement
Advertisement
SSKM

বিরলতম ফ্রেবিস রোগে ভুগছেন হাওড়ার গোবিন্দ, জিনঘটিত রোগ সারাবে এসএসকেএম

অদ্ভুত রোগ নেফ্রোলজির বইতে থাকলেও সাম্প্রতিক কালে কেউ চাক্ষুষ করেননি।

Howrah man admitted in SSKM suffering rarest genetic disease
Published by: Subhankar Patra
  • Posted:March 4, 2025 1:34 pm
  • Updated:March 4, 2025 1:42 pm  

ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: লাখ দূরস্থান, কোটিতে একজনের এমন রোগ হয় কি না সন্দেহ! এমন এক রোগীর সন্ধান মিলেছে এসএসকেএম হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগে। ডাক্তারি বইয়ে রোগের নাম, ‘ফেব্রিস’। উপসর্গ হাত-পা ফুলে যাওয়া। অথবা হাত-পা দিয়ে শুরু হয়ে ক্রমশ গোটা শরীর জ্বলতে শুরু করে। যেন কাটা জায়গায় লঙ্কাগুঁড়ো দিলে যেমন হয় তেমনই! এমন অদ্ভুত রোগ নেফ্রোলজির বইতে থাকলেও সাম্প্রতিক কালে কেউ চাক্ষুষ করেননি। স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্য অন্তত এমনটা দাবি করছে।

এমনই এক রোগী মাসখানেক আগে হাজির এসএসকেএম হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগে। ৪১ বছরের গোবিন্দ দাস। বাড়ি হাওড়ার সাঁকরাইল। উপসর্গ বলতে হাত-পা ফুলে ঢোল। শরীরে অদ্ভুত জ্বলুনি। আউটডোরে রোগীকে দেখে নেফ্রোলজির অধ্যাপক ডা. অতনু পাল কিছু ওষুধ দিলেন সাতদিন পর আসতে বললেন। এক সপ্তাহ পর রোগী এল। কিন্তু অবস্থা আরও জটিল। অনেক চিন্তাভাবনা করে কিডনির বায়োপসি করা হল। রিপোর্ট হাতে পেয়ে বিস্মিত। যে রোগের কথা আধুনিক চিকিৎসার বইয়ে উল্লেখ্য, সেই রোগী সামনে দাঁড়িয়ে। ডা. অতুন পালের কথায়, “কিডনির ছাঁকনি কাজ করছে না। ফলে প্রোটিন-কার্বোহাইড্রেট সব জমা হতে থাকে।”

Advertisement

কেন এমন হয়? উত্তরে অতনুবাবু বলছেন, “এক অতি বিরল রোগ। আমাদের শরীরে আলফা গ্যালকটোসাইটিস-এ নামে এনজাইম বা উৎসেচক থাকে। সেই উৎসেচক কাজ করে না। তাই প্রোটিন-কার্বোহাইড্রেটের বিপাক হয় না। সবটাই জমা হয় কিডনিতে।” পিজির নেফ্রোলজি বিভাগের অন্যান্য চিকিৎসকদের কথায়, ফেব্রিস আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের ‘রেয়ার ডিজিজ ফান্ড’-এ আবেদন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই পাঁচ লাখ টাকা এসেছে। টাকা হাতে পেয়েই প্রথম ইঞ্জেকশন। তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণ।

নেফ্রোলজির বিভাগীয় চিকিৎসকদের কথায়, গোবিন্দবাবুর কিছুটা উন্নতি হয়েছে। পরের সপ্তাহে ফের আরও একটি। এমন করে ইতিমধ্যে চারটি ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছে। গোবিন্দ দাস এখন অনেকটাই ভালো। তবে যেহেতু জিনঘটিত রোগ, তাই কিছু সময়ের ব্যবধানে ফের ইঞ্জেকশন নিতে হবে। ফেব্রিস জিনঘটিত রোগ। সাধারণত কুড়ি বছর পর রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়। নার্ভের সমস্যা থেকে পেট খারাপ অথবা শ্বাসকষ্ট, যে কোনও উপসর্গ হতে পারে। রোগী সুস্থ হয় না। সারাজীবন চিকিৎসার মধ্যে থাকতে হয়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement