প্রতীকী ছবি
স্টাফ রিপোর্টার: দাঁতের যত্ন তো নিচ্ছেন, মাড়ির যত্ন নিয়মিত নিচ্ছেন তো? কলকাতায় এসে এই প্রশ্নটাই ছুড়ে দিয়েছেন ডা. আশিস জৈন। দন্ত বিশেষজ্ঞদের কাছে ডা. জৈনকে প্রতিষ্ঠান হিসাবে মানা হয়। তাঁর কথায়, দাঁত (Teeth) আর মাড়ির মধ্যে বিস্তর ফারাক। শহুরে নাগরিক দিনে দুবার তো প্রায় সবাই দাঁত মাজেন। কিন্তু মাড়ির যত্ন হয় না।
তাই মাড়ির মধ্যে দুই দাঁতের ফাঁকে খাবারের টুকরো জমা হয়। বিভিন্ন ধরনের ব্যাক্টেরিয়া, ভাইরাস জন্মায়। মাড়ির রোগ হয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, গর্ভবতীর (Pregnant woman) মাড়ি যদি রোগগ্রস্ত হয় তবে শিশু কম ওজনের হয়। আরও মারাত্মক ঘটনা হল নির্দিষ্ট সময়ের আগেই শিশুর জন্ম হয়। যার ফলে আজীবন বিভিন্ন রোগে ভুগতে হয় শিশুকে। শনিবার আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজে মিলিত হয়েছিলেন পশ্চিম ভারতের বিভিন্ন ডেন্টাল কলেজের অন্তত দুশো দন্ত চিকিৎসক-অধ্যাপক গবেষক।
‘ইন্ডিয়ান সোসাইটি অফ পেরিওডোন্টলজি’র কলোসিয়াম-এর মূল বক্তা পাঞ্জাব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. আশিস জৈন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক। সঙ্গে ছিলেন আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজের দুই অধ্যাপক ডা. তীর্থঙ্কর দেবনাথ ও ডা. বিনীত জৈন। দুই চিকিৎসক বলেছেন দাঁতের স্কেলিং করা, নষ্ট হয়ে যাওয়া দাঁত ফেলে নতুন দাঁত বসানো অথবা ইমপ্ল্যান্ট করা। এর বাইরে আছে দাঁতের গায়ে দীর্ঘদিনের লেগে থাকা ময়লা জমে পাথরের মতো শক্ত হয়ে যাওয়া।
এই সব ময়লার সঙ্গে রক্তে কোলেস্টেরল বাড়া কমা যেমন যুক্ত তেমনই অপরিষ্কার দাঁতের মাড়ি হৃদরোগ ডেকে আনে। তাই দাঁতের যত্ন নেওয়ার সঙ্গে মাড়ির যত্ন সমান ভাবে নিতে হবে। দ্বিতীয়ত, যেসব গর্ভবতীর মাড়ি অপরিষ্কার তাঁদের সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার সময় মায়ের বেশ কিছু রোগ রক্তের মাধ্যমে তাঁদের শরীরে চলে আসে। তাই দাঁতের যত্ন নেওয়ার সময় আঙুল দিয়ে মাড়ি মালিশ করতে হবে। কুলকুচি করে খাদ্যকণা বের করতে হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.