সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কনট্যাক্ট লেন্সেই বিপদ। আর একটু হলেই দৃষ্টিশক্তি হারাতেন অভিনেত্রী জাসমিন ভাসিন (Jasmin Bhasin)। এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দিল্লি গিয়েছিলেন তিনি। মেকআপের পর কনট্যাক্ট লেন্স (Contact lens) পরতেই শুরু জ্বালা। তার পর তীব্র যন্ত্রণা। কিছু দেখতে পাচ্ছিলেন না হিন্দি টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। চিকিৎসকের জানান, লেন্সের জন্যই জাসমিনের চোখের কর্নিয়া ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সারতে অন্তত চার-পাঁচ দিন সময় লাগবে।
এ তো গেল জাসমিনের কথা। চোখের সমস্যা হোক বা সৌন্দর্যায়ন, চশমার বদলে লেন্স পরার ট্রেন্ডে ঝুঁকছেন অনেকেই। এতে ঝুঁকি কতটা? উল্লেখ্য, সাধারণত লেন্স তৈরি হয় সিলিকন হাইড্রোজেল, হাইডক্সি-ইথাইল মেথাক্রাইলেট (pHEMA) দিয়ে। এর ‘ওয়াটার কনটেন্ট’ লেন্স-টু-লেন্স বদলায়। হার্ড লেন্স মূলত ক্লিনিক্যাল কন্ডিশনে ব্যবহার করা হয়, যেমন কেরাটোকনাস রোগীরা পরেন। তবে বেশি মানুষ সফট লেন্সই পরেন। বিশেষজ্ঞর মত, সীমিত সময়ের ব্যবহারের জন্য লেন্স উপকারী। তবে চশমার মতো সর্বক্ষণ পরে থাকার জন্য নয়।
কনট্যাক্ট লেন্স পরতে গেলে কিছু সাবধানতা অবশ্যই মেনে চলতে হবে। যেমন –
স্নান করা বা সাঁতার কাটার সময়ে লেন্স পরবেন না।
লেন্স পরে ঘুমাতে যাবেন না।
ব্যবহারের পর লেন্স ঠিকমতো পরিষ্কার করুন। লেন্স যথাসম্ভব সাফসুতরো রাখার চেষ্টা করুন।
যখন লেন্স ব্যবহার করছেন না, তখন কনট্যাক্ট লেন্সের সলিউশনে তা ডুবিয়ে রাখুন।
নির্দিষ্ট ব্যবধানে লেন্স পালটাবেন। কারণ, এক টানা একই কনট্যাক্ট লেন্স পরে থাকা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক।
লক্ষ্য রাখবেন, যে লেন্স ব্যবহার করছেন, তাতে কোনও স্ক্র্যাচ এসেছে কি না। যদি আসে, লেন্স পালটান। কারণ ক্ষতিগ্রস্ত লেন্স পরলে তা থেকে কর্নিয়ায় ইনফেকশন হয়ে যেতে পারে, কর্নিয়ায় আলসার (ব্যাকটিরিয়াল, ফাংগাল) হতে পারে, যার প্রভাব পড়তে পারে দৃষ্টিশক্তিতে। প্রয়োজনে কর্নিয়া ট্রান্সপ্ল্যান্টও করতে হতে পারে।
লেন্স পরে চোখ কড়কড় করা, লাল হয়ে যাওয়া বা কোনও অস্বস্তি অনুভব হলেই সাবধান। অবিলম্বে লেন্স খুলে ফেলুন এবং চোখের ডাক্তার দেখান।
ব্র্যান্ডেড কোম্পানির লেন্স পরুন। সমস্ত নিয়ম মেনে চলুন।
অত্যধিক লেন্স পরবেন না। লেন্স বেশি পরলে কর্নিয়ার উপর চাপ পড়ে। কর্নিয়া সংক্রমণ-প্রবণ হয়ে পড়ে, শুকিয়েও যেতে পারে।
ধুলো থেকে বাঁচুন। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শমতো ল্যাসিক সার্জারি করিয়ে নিতে পারেন।
লেন্স একমাত্র তাঁদের জন্য উপকারী, যাঁদের চোখে পাওয়ার খুব বেশি। তাঁরা খুব মোটা চশমার বদলে লেন্স পরতে পারেন। তবে একটা চিন্তাধারা এমনও রয়েছে যে, লেন্স পরলে, একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর মাইনাস পাওয়ার আর বাড়ে না। অর্থাৎ একটি বাচ্চার এখন যদি চোখের পাওয়ার মাইনাস থ্রি থাকে, আর সে যদি এখন থেকেই লেন্স পরতে থাকে, তাহলে আঠেরো বছর বয়সে পৌঁছে তার পাওয়ার বেড়ে মাইনাস টেন হবে না। কিন্তু এর পিছনে কোনও বৈজ্ঞানিক সত্যতা নেই। চোখের হাই পাওয়ার থাকাটা কিছু কিছু ক্ষেত্রে জেনেটিক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.