শরীরের সৌন্দর্যায়নে ব্যায়াম আর মুখের দীপ্তি, তীক্ষ্ণতা ধরে রাখতে ফেসিয়াল যোগা (Facial Yoga) কার্যকর। বললেন, এশিয়ান যোগ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ভাইস প্রেসিডেন্ট নিবেদিতা ঘোষ।
সুন্দর, তীক্ষ্ণ, তরতাজা মুখ কে না চায়, কিন্তু সৌন্দর্যের ব্যাঘাত ঘটায় ডবল চিন, চোখের তলায় ফোলা ভাব, শুষ্ক ত্বকের প্রবণতা ইত্যাদি। আসলে শরীরের মতোই মুখাবয়বের জন্যও কিছু ব্যায়াম করা দরকার। সেগুলি কী ও কোনটায় কী উপকার জানা খুব জরুরি।
কন্ট্রাকশন অফ আইস: জোর করে একবার চোখ বন্ধ ও একবার খোলা, এইভাবে দশ বার ২ মাত্রায় করা যেতে পারে। এই ব্যায়ামটি বসে বা দাঁড়িয়ে দু’ভাবেই করা যায়।
পুলিং অফ চিক: এই ভঙ্গিমাটিও বসে বা দাঁড়িয়ে করা যেতে পারে। গালের দু’টি দিককে যতটা সম্ভব ভেতর দিকে টেনে রাখতে হবে।
পাম্পিং অফ চিক: বসে বা দাঁড়িয়ে দু’ভাবেই এটি করা যায়। শ্বাস নিয়ে মুখ ফোলাতে হবে। আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে হবে। এইভাবে ১০ বার ২ মাত্রায় করুন, অভ্যাস হয়ে গেলে ৫ সেকেন্ড ধরে রাখতে হবে।
ঘাড়ের ব্যায়াম (১): সোজা হয়ে বসুন বা দাঁড়ান, স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাসে মাথা একবার ডান কাঁধের দিকে যতটা সম্ভব ঘোরান। মাথা সোজা করুন, আবার বাঁদিকে যতটা সম্ভব ঘোরান। এইভাবে ১০ বার ১ মাত্রায় করুন।
ঘাড়ের ব্যায়াম (২): সোজা হয়ে বসুন। অথবা দাঁড়ান, স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাসে মাথা পিছন দিকে হেলান এবং সোজা করুন। পিছন এবং সামনে মিলে একবার, এইভাবে ১০ বার করুন। ক্রমশ বাড়াতে পারেন।
মৎস্যাসন: পদ্মাসনে বসুন। দুই কনুইয়ের সাহায্যে চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। হাত দু’টি মাথার দু’পাশের মাটিতে রেখে তার উপর ভর দিয়ে মাটি থেকে পিঠ তুলুন। ঘাড় হেলিয়ে দিয়ে মাথার তালুটা মাটির ওপরে রাখুন। এবার দু’হাত দিয়ে পায়ের বুড়ো আঙুল ধরুন। আর বুক উঁচু করুন এবং লক্ষ্য রাখুন যেন কনুই এবং হাঁটু মাটি স্পর্শ করে থাকে। যাঁদের পদ্মাসন হয় না তাঁরা সুখাসনে এবং হাত ও পায়ের বুড়ো আঙুলের জায়গায় পেটের উপর রাখবেন, শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে। মনে মনে ২০ গুনুন দু-মাত্রায়।
সর্বাঙ্গাসন: চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। দু’হাঁটু ভাঁজ করে পেটের ওপর নিয়ে আসুন। এই অবস্থায় শরীর উঁচুতে তুলে ধরে তালু কোমরের নিচে রাখুন এবং কনুই মাটিতে রেখে শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখুন। হাতের সাহায্যে পিঠ আরও বেশি করে এমনভাবে ঠেলে ধরুন যাতে বুক চিবুকের সঙ্গে লেগে থাকে এবং পায়ের পাতা টানটান থাকে। পায়ের পাতা থেকে কাঁধ, এক সরলরেখায় থাকবে। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে মনে মনে ২০ গুনুন, ২ মাত্রায়।
সিংহাসন: বজ্রাসন বা চেয়ারে বসেও সিংহাসন করা যায়। প্রথম চিবুক গলায় লাগিয়ে জিভ বার করুন যতটা সম্ভব। নাক দিয়ে শ্বাস নিয়ে গলা থেকে আওয়াজ করে শ্বাস ছাড়ুন। ৬ বার করুন। আওয়াজ না করতে পারলে জিভ বার করলেও হবে।
সহজ প্রাণায়াম: যে কোনও ধ্যান আসনে বসুন। মেরুদণ্ড সোজা থাকবে। ধীরে ধীরে নাক দিয়ে শ্বাস নিন ও মুখ দিয়ে ছাড়ুন। এইভাবে ২-৩ মিনিট করুন। নেওয়া-ছাড়ায় একটা সমতা থাকবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.