Advertisement
Advertisement
Heart Attack

মদ-সিগারেট না ছুঁয়েও ৮০% হার্ট ব্লক তরুণ ইঞ্জিনিয়রের! ‘ভিলেন’ করোনা টিকা?

তাঁর চাকরিতে তেমন কোনও কাজের চাপ নেই। বাড়িতে বসেও কাজ করার সুযোগ পেতেন।

No smoking, no drinking, 28-year-old techie suffers heart attack after 80% blockage in arteries

প্রতীকী ছবি

Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:May 13, 2025 9:11 pm
  • Updated:May 13, 2025 9:11 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পেশায় তিনি আইটি ইঞ্জিয়ার। মদ-সিগারেট ছুঁয়েও দেখেন না। কর্মক্ষেত্রেও তেমন কোনও চাপ নেই। যথেষ্ট সুস্থ জীবনযাপন তাঁর। নিয়মিত শরীরচর্চার মধ্যে থাকতেন। কিন্তু হঠাৎই একদিন বুকে ব্যথা অনুভব করায় তড়িঘড়ি চিকিৎসকের কাছে যান। জানতে পারেন তাঁর ‘মাইল্ড হার্ট অ্যাটাক’ হয়েছে। তাঁর ৮০% হার্ট ব্লক। প্রথমে এই বিষয়টি মানতেই চাননি ২৮ বছরের ওই তরুণ। কারণ তিনি যেমন সুস্থ জীবন কাটান তাতে কোনওভাবেই এমনটা হওয়ার কথা নয়। চিকিৎসকরা নানা পরীক্ষানিরীক্ষাও করেন। তাঁদের অনুমান তরুণের এই শারীরিক অবস্থার জন্য করোনা টিকা দায়ী!

জানা গিয়েছে, ওই তরুণ বেঙ্গালুরুর একটি তথ্য প্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করেন। তাঁর চাকরিতে তেমন কোনও কাজের চাপ নেই। বাড়িতে বসেও কাজ করার সুযোগ পেতেন। তরুণের কথায়, তিনি দিনে মাত্র চার ঘন্টা কাজে ব্যয় করতেন। স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার জন্য যথেষ্ট সময় পেতেন। শারীরিকভাবে যথেষ্ট সক্রিয়। জিমে কসরত করতেন। মাঝে মধ্যে হাইকিংয়েও যেতেন। মদ্যপান, ধূমপানও করেন না। এমনকী খুব একটা খেতেও পছন্দ করেন না। পরিবারের কারও হার্টের কোনও সমস্যা নেই। তা সত্ত্বেও কীভাবে এই গুরুতর সমস্যা দানা বাঁধল তাঁর শরীরে?

Advertisement

ওই তরুণ জানিয়েছেন, একদিন আচমকাই শরীরে অস্বস্তি বোধ করেন তিনি। প্রথমে খুব একটা আমল দিতে চাননি। কিন্তু বুকে হালকা ব্যথা হতেই আর ঝুঁকি না নিয়ে হাসপাতালে যান। সেখানে জানতে পারেন ‘মাইল্ড হার্ট অ্যাটাক’-এর কথা। বিশ্বাস না হওয়ায় তিনি আরেকটি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকদের পরামর্শ নেন। সেখানেও তাঁকে একই কথা বলা হয়। এবং জানানো হয় তাঁর হার্ট ৮০% ব্লক। এরপর সময় নষ্ট করেননি ওই তরুণ। চিকিৎসকদের পরামর্শে স্টেন্ট বসে তাঁর। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, কোভিড ভ্যাকসিনের কারণে তাঁর ধমনীতে রক্ত জমাট বেঁধে থাকতে পারে। যে কারণে হৃদযন্ত্রের এই অবস্থা হয়েছে।

কয়েক মিনিট আগেও দিব্যি হেসে খেলে বেড়ানো তরতাজা যুবকের হঠাৎ মৃত্যু! অতিমারির পর গত কয়েক বছরে দেশের নানা প্রান্তে এমন অসংখ্য ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে শুটিং চলাকালীন হৃদরোগে আক্রান্ত হন শ্রেয়স তলপড়ে। টানা ১০ মিনিট নাকি অভিনেতার হার্ট বন্ধ ছিল। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়েই নতুন জীবন পেয়েছেন শ্রেয়স। সেই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়েই করোনা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন তিনি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement