স্টাফ রিপোর্টার: হাম (Measles), রুবেলা ঠেকাতে বাড়ানো হচ্ছে রাজ্যের প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজের সদস্য। প্রত্যেকটি মেডিক্যাল কলেজে কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক পুরসভার প্রতিটি বরোতে দায়িত্বে থাকবেন বলেই জানা গিয়েছে।
কোভিড (COVID-19) আবহে গত দু’বছর শিশুদের হাম (মিজলস) এবং রুবেলা (জার্মান হাম) টিকাকরণ ব্যাহত হয়েছে। সাধারণত ন’মাস বয়সেই শিশুদের এর প্রথম টিকা নিতে হয়। দ্বিতীয় টিকা মেলে ১৫ মাস বয়সে। অতিমারী শিথিল হতেই তাই শিশুদের হামের টিকাকরণে জোর দিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। প্রতিটি হাসপাতালের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগে সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর জন্য চিঠি দিল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তর।
মেডিক্যাল কলেজের ডিরেক্টর এবং অধ্যক্ষকে পাঠানো সে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, অন্তঃসত্ত্বা মায়ের রুবেলা সংক্রমণ হলে সারা জীবনের মতো ভুগতে হতে পারে সন্তানকে। হতে পারে কনজেনিটাল রুবেলা সিন্ড্রোম। এতে সারা জীবনের জন্য বধির হয়ে যেতে পারে শিশু। দেখা দিতে পারে হার্টের সমস্যা। কালিম্পং এবং দার্জিলিং বাদ দিয়ে গোটা রাজ্যে আগামী ৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে এই মিজলস রুবেলা ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেন। ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুরা পাবে টিকা।
জনস্বাস্থ্য আধিকারিক অনির্বাণ দলুই জানিয়েছেন, একজনের হাম হলে, তার থেকে আরও দশ জনের হাম হতে পারে। মূলত হাঁচি, কাশির ড্রপলেটের মাধ্যমে ছড়ায় এই ভাইরাস। কোনও আক্রান্ত ব্যক্তি যেখানে নাক ঝাড়বেন সে জায়গায় প্রায় দু’ঘণ্টা পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে হামের ভাইরাস। আরএনএ ভাইরাসকে ঠেকাতে সার্বিক টিকাকরণের প্রয়োজন।
নয়া নোটিস অনুযায়ী স্কুলের শিশুরা তো বটেই, পথশিশুদেরকেও মিজলস, রুবেলা টিকাকরণের আওতায় আনতে জোর় দিচ্ছে রাজ্য সরকার। বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে প্রান্তিক এবং চা বাগানের আদিবাসী এলাকার শিশুদের জন্য। হামের প্রভাব মারাত্মক। শরীরের রোগ প্রতিরোধ নষ্ট করে দেয় এই ভাইরাল অসুখ। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের কথায়, যে সমস্ত শিশুরা হামে আক্রান্ত হয় তাদের মধ্যে বিশেষ এক ধরনের ডায়েরিয়া দেখা যায়। পরবর্তীকালে তার থেকে অপুষ্টিজনিত সমস্যা হয়। এছাড়াও হামের প্রকোপে চোখের ভিটামিন এ-র ঘাটতি দেখা যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.