সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুস্থ থাকার জন্য কী প্রয়োজন? চোখ বুঝে আমরা জবাব দিই পুষ্টিকর খাবার এবং শরীরচর্চাই যথেষ্ট। কিন্তু জানেন কী বছরের পর বছর ধরে সুস্বাস্থ্যের মাপকাঠি হিসাবে আপনি যেগুলির কথা বলেন, তা আদতে যথেষ্ট নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুস্বাস্থ্যের জন্য পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি ঘড়ি মেপে খাওয়াদাওয়াও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অবাক লাগছে? ভাবছেন ব্যস্ত জীবনে কীভাবে তা সম্ভব হবে? কিন্তু ঘড়ি মেপে খাওয়াদাওয়া আজ থেকে শুরু করতে না পারলে অসুস্থ হয়ে পড়ার জন্য তৈরি থাকুন।
আপনি প্রশ্ন করতেই পারেন কেন ঘড়ি মেপে খাওয়াদাওয়া করা প্রয়োজন? তাহলে চলুন বিশেষজ্ঞদের মতামত জেনে নেওয়া যাক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু পুষ্টিকর খাবারই আপনার সুস্বাস্থ্যের জন্য যথেষ্ট নয়। ভাল ঘুম এবং সঠিক সময়ে খাওয়াদাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়ার ফলে শরীর একটি নিয়মের গতিতে চলতে থাকে। তার ফলে তড়িঘড়ি স্বাস্থ্যের উন্নতি হওয়া সম্ভব হয়। তাছাড়া আমাদের হজমশক্তি ঠিকঠাক রাখার জন্য ঘড়ি মেপে খাওয়াদাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমাদের ঘুম থেকে ওঠার পর হজমশক্তি সবচেয়ে ভাল থাকে। তাই সঠিক সময়ে খাওয়াদাওয়া করা দরকার। তৃতীয়ত, লিভারই আমাদের খাবার হজম করতে সাহায্য করে। তাই ১০টার মধ্যে রাতের খাওয়া শেষ করারই পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। রাতে খাবার খেয়েই ঘুমিয়ে পড়লে নিজস্ব কাজ করার জন্য লিভারকে নিজের উপরেই অতিরিক্ত জোর দিতে হয়। সুদূর ভবিষ্যতে তার প্রভাবে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে, দুপুরে এবং রাতের খাবারই মূলত সামান্য ভারী খাই আমরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিবার ভারী খাবারদাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে চার ঘণ্টার ব্যবধান রাখতে হবে। তার থেকে বেশি দেরি হলে হজমের সমস্যা হতে পারে। ঘুম থেকে ওঠার ২ ঘণ্টার মধ্যে সকালের খাবার খাওয়া প্রয়োজন। বেলা ১২ টা থেকে ২টোর মধ্যে দুপুরের খাবার এবং ৮টার মধ্যে রাতের খাবার খেয়ে নেওয়াই ভাল। রাতে ঘুমনো এবং খাবার খাওয়ার সময়ের ক্ষেত্রে দু’ঘণ্টা ব্যবধান থাকা প্রয়োজন। তাই আজ থেকেই ঘড়ির কাঁটা মেপে খাওয়াদাওয়া করুন। আর হয়ে উঠুন সুস্বাস্থ্যের অধিকারী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.