সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশাল বড় বাড়ি। তার সামনে অনেকটা জায়গাজুড়ে বাগান। সেখানে ফুটে রয়েছে গোলাপ, রজনীগন্ধা-সহ একাধিক ফুল। এমন ছবি আজকাল দেখাই যায় না। এমনকী বাড়ির ছাদে টবের বাহারও এখন আর নেই। শহরে এখন ফ্ল্যাটবাড়ির দৌরাত্ম্য। ফলে চাইলেও বাগান করা এখন মানুষের পক্ষে অসম্ভব। তাই ফ্ল্যাটের বারান্দাই সম্বল। সেখানেই দিব্যি তৈরি করতে পারেন বাগান। ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে বানাতে পারেন টব। এর ফলে জিনিস রিসাইকেল যেমন হবে, তেমনই বাগানের সাধও মিটবে।
ছোট ফুলগাছ বসাতে চাইলে প্লাস্টিকের বোতল, রান্নার তেলের ক্যান বা প্লাস্টিকের কৌটো ব্যবহার করতে পারেন। বাজার থেকে টব না কিনে এগুলো দিয়ে টব বানান। টাকাও বাঁচবে, জিনিসগুলো ব্যবহারও হবে। আর যদি সম্ভব হয় এর বাইরে কোনও কারুকাজ করতে নিতে পারেন। হাতে আঁকতেও পারেন। বাজারচলতি টবের চেয়ে অনেক সুন্দর দেখতে লাগে এগুলো।
বাড়িতে অ্যালোভেরা গাছ লাগাতে অনেকে ভালবাসেন। এগুলি দেখতেও যেমন সুন্দর, এর উপকারও প্রচুর। ত্বক থেকে পেট, অনেক সমস্যাতেই ম্যাজিকের মতো কাজ করে অ্যালোভেরা। এর পাতার মধ্যে যে জেলটি থাকে, তা বেশ উপকারী। আর তাছাড়া ঘরে একটা আলাদা সৌন্দর্য এনে দেয় অ্যালোভেরা। তাই অনেকেই ঘরে এই গাছ রাখতে পছন্দ করেন। তাই বাড়িতে যদি বাগান করতে চান, তাহলে তালিকায় রাখতে পারেন অ্যালোভেরা।
মানিপ্ল্যান্ট বসাতে চাইলে অবশ্যই ব্যবহার করুন কাঁচের শিশি। অনেক মানিপ্ল্যান্ট মাটি ছাড়াও বেড়ে ওঠে। শিশুরা চোখের সামনে এমন ঘটনা দেখলে তারা নতুন কিছু শিখতে পারবে। বাড়িতে গাছ পুঁততে চাইলে এমনভাবে এগোন, যাতে আপনার ছেলেমেয়েরা সেখান থেকে কিছু শিখতে পারে। যেমন, রান্না ঘর থেকে কোনও মশলার বীজ নিন। তারপর ওদের দেখিয়েই সেটা মাটিতে পুঁতে দিন। কয়েকদিন পর যখন সেটা থেকে গাছ বেবোরে, এক কাজে দু’কাজ হবে। বাড়িতে আপনার গাছ লাগানোও হবে, আর সন্তান হাতেকলমে শিক্ষাও পাবে। আরও একটা কাজ করতে পারেন। যেসব গাছের কাণ্ড থেকে নতুন গাছ বের হয়, সেইসব গাছের ডাল এনে বসাতে পারেন টবে। এটিও আপনার সন্তানদের অনেক কিছু শেখাবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.