সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আধা আলো-আধা অন্ধকার মানেই সঙ্গিনীর শরীর ছোঁয়ার ইচ্ছা, গাঢ় আলিঙ্গণ বা আরও বেশি কিছু…। আর ঝকঝকে দিনের আলো মানেই যৌনতাহীন কর্মব্যস্ত জীবন, এই ধারণা এবার বদলাতে চলেছে। অন্তত গবেষণা তেমনই বলছে।
ইটালির গবেষকদের দাবি, টানা দু’সপ্তাহের প্রতিদিন অন্ধকারে ডিজিটাল গ্যাজেটের সামনে বসে কাজ করলে যৌন বাসনা কমে যায়। এই সমস্যায় ভুগছে বিশ্বের প্রায় সমস্ত প্রযুক্তি নির্ভর পুরুষ। অন্ধকার ঘর, একান্তে স্বল্পবসনা সঙ্গিনীর শরীরী হাতছানি সত্ত্বেও তা পরিপূর্ণ উপভোগ করার ইচ্ছাই হয় না পুরুষ সঙ্গীর। এর জন্য আপাতভাবে কর্মব্যস্ততার দোহাই দেওয়া হয়। তবে গবেষণা বলছে শুধুই মানসিক চাপ নয়, এর পিছনে রয়েছে হরমোনের অঙ্গুলিহেলন। কবি তো সেই কবে বলেছেন, ‘ভালবাসা আসলেতে পিটুইটারির খেলা, আমরা বোকারা বলি প্রেম’। এই তত্ত্বে একমত পোষণ করেছেন ইতালির গবেষক ডা. ফ্যাজিওলিনি।
জানিয়েছেন, ঝকঝকে আলোয় পিটুইটারি থেকে লিউটিনাইজিং হরমোন ক্ষরণ বাড়ে। যা টেস্টোস্টেরন ক্ষরণ বাড়িয়ে যৌন কামনাকে উদ্দীপিত করে। তাই সারাদিন মাঠে-ঘাটে কাজ করে ক্লান্ত শরীরে বাড়ি ফিরেও সামান্য অবকাশ মিললে সঙ্গিনীর সঙ্গে যৌন মিলনের আগে দু’বারও ভাবেন না প্রযুক্তির নিরিখে পিছিয়ে থাকা পুরুষ। অন্যদিকে ঠান্ডা ঘর, সাজানো বিছানা, একান্ত অবসর, স্বল্প পোশাকে সজ্জিত নারী শরীরও যৌন কামনা সৃষ্টিতে ব্যর্থ হয়। কারণ লাগাতার অন্ধকারে থাকার ফলে লিউটিনাইজিং হরমোন ক্ষরণ কম হয়। যার প্রভাবে টেস্টোস্টেরন নিঃসরণও কমে যায়। যৌন মিলন না হওয়ার কারণে অতৃপ্ত যুগল চিকিৎসার জন্য ডা. ফ্যাজিওলিনির শরণাপন্ন হলে তিনি নেচার থেরাপির পরামর্শই দেন। এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে না লাগে কোনও ওষুধ, না কোনও জড়িবুটি। নিছকই ঝকঝকে আলোয় দিনের একটা অংশ কাটাতে বলা হয়। আর তাতেই মেলে উপকার। এতে দাম্পত্যের রসায়ন মধুর হওয়ার পাশাপাশি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কোনও ভয় নেই বলে ফ্যাজিওলিনির দাবি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.