সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দশটা-পাঁচটার জাঁতাকলে ব্যস্ত সকলেই৷ এরই মাঝে অনেক প্রেমিকারই অভিযোগ, তাঁর পুরুষসঙ্গী নাকি সেরকমভাবে সময় দেন না তাঁকে৷ আবার কারও কারও অভিযোগ, অন্য মহিলাদের প্রতিই নাকি বেশি আকর্ষণ তাঁর৷ সম্পর্ক নিয়ে পুরুষসঙ্গীর কোনও মাথাব্যথা নেই ভেবে মরমে মরে যান অনেকেই৷ অভিযোগ জমা হতে হতে পাহাড়ের রূপ নেয়৷ আবার অনেক সময় বিচ্ছেদের মতো মর্মান্তিক পরিণতিও হয় সম্পর্কের৷ সে তো নয় গেল, কিন্তু বিচ্ছেদই তো আর সমাধান নয়৷ বরং তার চেয়ে ভাল ভেবে দেখুন আপনার সঙ্গীকে নিয়ে আপনি বেশি পজেসিভ নন তো৷ নিজের কাজের থেকে কী প্রেমিককে নিয়েই বেশি চিন্তাভাবনা করছেন আপনি? মনে রাখবেন ভালবাসার প্রকাশ পাওয়ার বদলে, এই পজেসিভনেস কিন্তু হতে পারে মানসিক অসুস্থতারও কারণ৷
সমীক্ষা বলছে, সাধারণত যে মহিলা বা পুরুষরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন, তাঁদের মধ্যেই পজেসিভনেস সবচেয়ে বেশি থাকে৷ বিপরীতের মানুষটির প্রতি অতিরিক্ত দুর্বল হয়ে পড়ার মূল কারণও কিন্তু এই নিরাপত্তাহীনতাই৷ বিশেষজ্ঞদের দাবি, নিজের থেকে অতিরিক্ত যদি কেউ বিপরীতের মানুষটিকে ভালবাসেন তাও কিন্তু পজেসিভনেসের কারণ হতে পারে৷ তবে সমীক্ষা বলছে, এটি কারও জন্য মোটেই ভাল লক্ষ্মণ নয়৷
কিন্তু প্রশ্ন হল, কীভাবে বুঝবেন যে ভালবাসা আর পজেসিভনেস সীমারেখা কোনটি? লক্ষ্য রাখুন,
উপরের এই প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, তবে মনে রাখবেন ভালবাসা বা পজেসিভনেস নয়, আপনার কাছের মানুষটি ভুগছেন মানসিক রোগে৷ দেরি না করে তাড়াতাড়ি কোনও মানসিক চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন৷ মিলতে পারে, সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়ার উপায়৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.