সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ন’টা-পাঁচটার অফিস করে বাড়ি চলে আসা অনেকেরই হয় না। উৎসবের দিনও এখন বেশিরভাগ বেসরকারি অফিস খোলা থাকে। তার ফলে বর্তমান কর্মব্যস্ত জীবনে অফিসই যেন দ্বিতীয় বাড়ি। সহকর্মীদের সঙ্গে কাটে বেশিরভাগ সময়। সেক্ষেত্রে সহকর্মীরাই হয়ে ওঠেন ভালো বন্ধু। বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে যেমন লিঙ্গভেদ হয় না, তেমনই সহকর্মীদের ক্ষেত্রে। তাই মহিলা সহকর্মীদের সঙ্গে বহু পুরুষেরই সুসম্পর্ক তৈরি হয়। আর তার জেরে বিপাকে পড়েন বহু পুরুষ। অনেক সময় পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে যায় যে, স্ত্রী তাঁদের সন্দেহের নজরে দেখতে শুরু করেন। দাম্পত্য সম্পর্ক চলে আসে খাদের কিনারে। তা বলে চাকরি ছেড়ে তো ঘরে বসে থাকা সম্ভব নয়। তাই সংসারে অশান্তি সত্ত্বেও ওই মহিলা সহকর্মীর সঙ্গে অফিস করতেই হয়। কিন্তু সংসার ভাঙা তো আর কাজের কথা নয়। তার চেয়ে বরং স্ত্রীকে বোঝান। জেনে নিন সহজ কৌশলে কীভাবে বোঝাবেন স্ত্রীকে।
* দাম্পত্য অশান্তি দূর করতে খোলামেলা আলোচনার থেকে বড় ওষুধ বোধহয় আর কিছুই হতে পারে না। স্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলুন। কোন মহিলা সহকর্মীর সঙ্গে কেমন সম্পর্ক – সে বিষয়ে সম্যক ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করুন স্ত্রীকে।
* যদি সম্ভব হয় প্রত্যেক মহিলা সহকর্মীর সঙ্গে স্ত্রীর পরিচয় করিয়ে দিন। মুখোমুখি সাক্ষাৎ না হলেও, মাঝেমধ্যে ফোনে কথা বলানোর চেষ্টা করুন।
* মহিলা সহকর্মীর সঙ্গে আপনার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হতেই পারে। কিন্তু ঠিক কতটা খোলামেলাভাবে মিশবেন, তার একটা সীমানা বেঁধে দিন।
* দাম্পত্য সম্পর্কের ভিত হল বিশ্বাস। সেই বিশ্বাসে যেন কোনও ভাটা না পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখুন।
* সন্দেহপ্রবণ স্ত্রীরা অনেক সময় আপনার ও সহকর্মীর হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার চ্যাট দেখার চেষ্টা করেন। আপনার স্ত্রীর অভ্যাসও যদি এরকম হয়, তবে ফোনে পাসওয়ার্ড দেওয়া বন্ধ করুন।
* আপনাদের দু’জনের সম্পর্কের বাঁধন ঠিক কতটা অটুট, তা স্ত্রীকে প্রতি মুহূর্তে বোঝানোর চেষ্টা করুন। স্ত্রীর সঙ্গে ভালো সময় কাটান। তা সে রেস্তরাঁয় গিয়ে হোক কিংবা বিছানায়। সেই সময় সহকর্মীদের বিশেষ গুরুত্ব দেবেন না।
এই সহজ টিপসে কাজ হলে ভালো। আর যদি না হয় তাহলে অবশ্যই মনোবিদের সাহায্য নিন। মনে রাখবেন, আজ গুরুত্ব না দিলে এই সন্দেহই একদিন সম্পর্ক ভাঙার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.