সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সবুজ রঙের প্যাকেটে মোড়া কাঁচা আম ফ্লেভারের লজেন্সটির দাম মাত্র এক টাকা। কিন্তু মাত্র ২ বছরে সেই লজেন্সই প্রায় ৩০০ কোটি টাকার ব্যবসা করে ফেলেছে। একটি সূত্রের দাবি, প্রায় সব ভারতীয়ই এক বা একাধিকবার এই লজেন্স খেয়ে দেখেছেন। কিন্তু এই লজেন্সের সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছে কোন কাহিনী?
সাধারণত, দোকান থেকে কিছু কিনলে খুচরো না থাকলে দোকানদার এক টাকা দামের লজেন্স ক্রেতার হাতে ধরিয়ে দেন। কিন্তু পালস-এর বেলায় তেমনটা হয়না। সাধারণত মানুষ দোকানে গিয়েই পালস ক্যান্ডি কেনেন। এমনকী, একটি বা দুটি নয়, একসঙ্গে অনেকগুলি করে লজেন্স কেনেন। কাঁচা আম ফ্লেভারের এই লজেন্সটি তৈরি করেছে রজনীগন্ধা পান মশলার নির্মাতা ডিএস গ্রুপ। বাজারে আসার মাত্র ৮ মাসের মধ্যে এই ক্যান্ডি ১০০ কোটি টাকার ব্যবসা করে ফেলে। ভেঙে দেয় কোক জিরো-র রেকর্ড। অবাক করা ঘটনা হল, এই লজেন্সের জন্য কোনও যথাযথ বিজ্ঞাপনও করেনি ডিএস গ্রুপ। লোকের মুখে মুখে এই লজেন্স বিখ্যাত হয়ে যায়। এবং প্রমাণ করে দেয়, নিছক বিজ্ঞাপনী প্রচার নয়, অভিনবত্ব আনলে ও গুণগত মান বজায় রাখলে বিখ্যাত হতে বিশেষ সময় লাগে না।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, কাঁচা আমের মতো দেশি ফ্লেভারই পালস-এর সাফল্যের আসল রহস্য। সব বয়সের মানুষের কাছে সমান জনপ্রিয় এই ক্যান্ডি। ২০১৫-তে বাজারে আসলেও এই ক্যান্ডির জন্মের পরিকল্পনা শুরু হয় ২০১৩-য়। ডিএস গ্রুপের প্রোডাক্ট ডেভলপমেন্ট টিম অনুভব করে, ভারতের বাজারে কাঁচা আমের স্বাদের লজেন্সের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। প্রায় ২৬ শতাংশ মানুষ কাঁচা আম ও ২৪ শতাংশ মানুষ আম ফ্লেভার পছন্দ করেন। ওই টিম এও বুঝতে পারে, কাঁচা আমের সঙ্গে মশা ও নুনের মিশেল সাধারণ মানুষের ব্যাপক পছন্দ হবে। সেই মতো এই লজেন্সের ভিতরে নুন ও মশলার মিশ্রণ পাউডারের মতো ভরে দেওয়া হয়। আর এই ম্যাজিকেই বাজিমাত। ভবিষ্যতে এই লজেন্স ব্রিটেন, সিঙ্গাপুর ও আমেরিকাতেও বিক্রির পরিকল্পনা রয়েছে প্রস্তুতকারক সংস্থার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.