সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উদ্দাম ঢেউয়ের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। লড়াই করেছেন। মিলেছে সাফল্য। অল্প বয়সেই সাফল্যের ঝুলিতে একের পর এক প্রাপ্তি হয়েছে তাঁর। সেই প্রথম মহিলা পদ্মশ্রীপ্রাপ্ত বাঙালি সাঁতারু আরতি সাহাকে ৮০ তম জন্মদিনে ডুডলের মাধ্যমে সম্মান জানাল গুগল (Google)।
দিনটা ছিল ১৯৪০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর। ওইদিনই বাবা-মায়ের কোল আলো করে জন্ম নেন আরতি সাহা (Arati Saha)। ছোট থেকেই জল যেন বড্ড টানত তাঁকে। তাই তো খুব কম বয়সেই সাঁতারের প্রশিক্ষণ শুরু হয় কলকাতার কন্যার। তিনি শচীন নাগের ছাত্রী ছিলেন। শচীন নাগ ভারতের অন্যতম সেরা সাঁতারু। পাঁচ বছর বয়সেই প্রথমবার বাজিমাত করলেন আরতি। আরও পাঁচজন প্রতিযোগীর মধ্যে থেকে ওই ছোট বয়সেই নিজেকে সেরা প্রমাণ করলেন তিনি। জিতলেন স্বর্ণপদক। তারপর আর পিছু ফিরে তাকাননি কখনও। ১১ বছর বয়সে ফের রেকর্ড করেন কলকাতার কন্যার। ১৯৫২ সালে ফিনল্যান্ডের হেলসিংকিতে সামার অলিম্পিকে আসর বসে। সেখানে ভারতীয় সাঁতার দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন আরতি। মাত্র বারো বছর বয়সি মেয়েটা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় চমকে দিয়েছিলেন সকলকে।
প্রশিক্ষক শচীন নাগের তত্ত্বাবধানে মাত্র ১৮ বছর বয়সে ইংলিশ চ্যানেল পার করার চেষ্টা করেন আরতি। তবে সেবার তিনি সফল হননি। কিন্তু ভেঙে পড়েননি বাঙালি সাঁতারু (Swimmer)। পরিবর্তে না পারাই যেন জেদ জুগিয়েছে তাঁকে। কঠিন অনুশীলন শুরু করেন আরতি। তাতেই মিলল সাফল্য। পরের বছর জয় করেন ইংলিশ চ্যানেল। এশিয়ার প্রথম মহিলা সাঁতারু হিসাবে তিনিই জয় করেছিলেন ইংলিশ চ্যানেল। ৬৭.৫ কিলোমিটার মাত্র ১৬ ঘণ্টা ২০ মিনিটে পার করেছিলেন তিনি। ১৯৬০ সালে তাঁর মাথায় আসে সাফল্যের আরও বড় মুকুট। প্রথম মহিলা ক্রীড়াবিদ হিসাবে পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত হন তিনি। অবশ্য বেশিদিন পরিজনদের সঙ্গে থাকার সময় পাননি আরতি। কারণ, ১৯৯৪ সালে মাত্র ৫৪ বছর বয়সেই বাঙালি সাঁতারুর জীবনযুদ্ধ শেষ হয়। জন্মদিনে সেই বিশ্বখ্যাত বাঙালি সাঁতারুকেই ডুডলের (Doddle) মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানাল গুগল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.