সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফার্মেসিতে না গিয়েও বাড়ি বসেই জরুরি সময়ে প্রয়োজনীয় ওষুধ হাতে পাওয়া যায়। অনলাইন শপিংয়ের সৌজন্যে ই-ফার্মেসি সাইটগুলি থেকে ওষুধের পাশাপাশি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানা পরিষেবাও মেলে। কিন্তু এবার হয়তো সেসব সুযোগ-সুবিধা বন্ধ হতে চলেছে। শোনা যাচ্ছে, এবার ই-ফার্মেসিগুলি বন্ধ করার পথে কেন্দ্র!
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সম্প্রতি বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনলাইনে ওষুধ বিক্রি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন। আবার টাটা ১এমজি, আমাজন, ফ্লিপকার্ট, নেটমেডস, মেডি বাডি, ফ্র্যাঙ্করোস, অ্যাপোলো-সহ মোট ২০টি ই-কমার্স সাইটকে ইতিমধ্যেই শোকজ নোটিস ধরিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (DCGI)।
কিন্তু কেন এই অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্মগুলিকে নোটিস দেওয়া হয়েছে? জানা যাচ্ছে, অনলাইনে ওষুধ বিক্রির ক্ষেত্রে আলাদা করে কোনও লাইসেন্স লাগছে না। ফলে ওষুধের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন থেকে যাচ্ছে। গ্রাহকের কাছে যা বিপজ্জনক হতেই পারে। কীভাবে এমন ঝুঁকি নেওয়া হচ্ছে, শোকজ নোটিসে সেই প্রশ্নের উত্তরই চাওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে নাকি এও বলা হচ্ছে, অনলাইনে যে সমস্ত ওষুধ বিক্রি হয়, যা চিকিৎসকের সঠিক প্রেসক্রিপশন ছাড়া খোলা বাজারে পাওয়া যায় না। অর্থাৎ অসংগঠিত ভাবে, নিয়মের তোয়াক্কা না করেই ব্যবসা চালাচ্ছে এই ই-কমার্স সাইটগুলি। শুধু তাই নয়, লাইসেন্স ছাড়া মেডিক্যাল সরঞ্জামও বিক্রি করা হচ্ছে। তাই অনলাইনে ওষুধের ব্যবসা করতে হলে সঠিক প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যাওয়া আবশ্যক। এক বিশেষজ্ঞের মতে, সেক্ষেত্রে আপাতত ই-ফার্মেসিগুলির উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোর সিদ্ধান্তই সঠিক হবে। কয়েক বছর পর আবার নিয়ম মেনে তা শুরু হতে পারে। এখন দেখার ই-কমার্স সাইটগুলি গোটা বিষয়টি নিয়ে কী প্রতিক্রিয়া দেয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.