সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সারা পৃথিবীতেই ছড়িয়ে মেটার ইউজার। সংখ্যায় তিনশো কোটির বেশি! এত বড় একটা ‘বাজারে’ উৎসাহী প্রতারকরাও। আর তাই স্প্যামের ছড়াছড়ি সেখানে। আগেও এটা ছিল। কিন্তু সম্প্রতি দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় সাইবার অপরাধীদের দৌরাত্ম্য, এআই দিয়ে তৈরি কনটেন্ট ও ক্রিপ্টোকারেন্সি স্কিমের মতো নানা ইস্যুর জেরে জেরবার ইউজাররা। মেটাও মেনে নিয়েছে ‘স্প্যামের মহামারী’তে আক্রান্ত তাদের সংস্থার সব প্ল্যাটফর্মই!
ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম- দুই প্ল্যাটফর্মে স্প্যাম ছড়িয়ে পড়ার মধ্যে রয়েছে বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন যা চুরি করা ব্যবসায়িক ঠিকানা বা সন্দেহজনক পোষ্য প্রাণী বিক্রির উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়। সবচেয়ে আশ্চর্যের, মেটা সমস্যাটি স্বীকার করলেও এর মোকাবিলায় গুরুতর পদক্ষেপ করছে না। এমনটাই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম এই সংক্রান্ত অভ্যন্তরীণ নথিপত্র উল্লেখ করে জানিয়েছে, মেটা সাম্প্রতিক বছরগুলিতে স্ক্যাম এনফোর্সমেন্টকে অগ্রাধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে! তাদের আশঙ্কা ছিল যে, এই ধরনের এনফোর্সমেন্টের সময় ভুলবশত বিজ্ঞাপনগুলি সরিয়ে ফেলা হতে পারে। ফলে সমস্যার সমাধান তো হয়ইনি, বরং তা উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। অসংখ্য ভুয়ো বিজ্ঞাপন এখনও ছড়িয়ে রয়েছে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মতো মঞ্চে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় এডগার গুজম্যানের কথা। আটলান্টার বাইরে হোলসেল ব্যবসা করেন তিনি। তাঁর নামেই বিপুল সংখ্যক বিজ্ঞাপন দেখা যায় সোশাল মিডিয়ায়। বলা হচ্ছে, এক বছরের কম সময়ে গুজম্যানের সংস্থার ৪ হাজার ৪০০টি বিজ্ঞাপন চলছে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে। সেখানে নানা রকম অফারের কথা জানানো হচ্ছে। অথচ গুজম্যান জানিয়ে দিয়েছেন, ”আমরা অনলাইন ব্যবসা করিই না।”
মেটার বিরুদ্ধে অভিযোগ, এই ধরনের ভুয়ো বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না করা। কিন্তু সংস্থার মুখপাত্রের দাবি, ”৭০ শতাংশ অ্যাড অ্যাকাউন্ট ইতিমধ্যেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে আমাদের নীতি না মানায়। এবং অনেক অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করার সপ্তাহখানেকের মধ্যেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকী, দিনের দিন ক্রিয়েট করা অ্যাকাউন্টও উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।” সব মিলিয়ে স্প্যাম বিতর্কে মেটা যে নাজেহাল তা বোঝাই যাচ্ছে। জুকারবার্গের সংস্থা শেষপর্যন্ত এর বিরুদ্ধে কী পজক্ষেপ করে সেটা দেখার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.