ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: লকডাউনে ‘বাবু’র মন খারাপ। একা একা ঘুরে বেড়াচ্ছে ডোরাকাটার দল। কোনও খাঁচায় ছুটে বেড়াচ্ছে জেব্রা কিংবা জিরাফ। লকডাউনে সবার নিয়মেই কিছু বদল এসেছে। কিন্তু সেখানে পৌঁছে স্বচক্ষে তাদের দেখা যাচ্ছে না। দেখা যাচ্ছে না, পাখির ঝটপটানি। না দেখা যাচ্ছে এক মাঠ কাদায় গন্ডারের লুটোপুটি বা ডোরা কাটার অযথা হালুম-হালুম দাপট। সব একেবারে বন্ধ। কিন্তু এবার বাড়ি বসেই তাদের দেখতে পাবে কচিকাঁচার দল।
চাইলে দেখে নিতে পারবে স্যানিটাইজ করা খাঁচায় কী করছে ডোরাকাটা স্নেহাশিস। চাইলে জানতে পারবে এই লকডাউনে বাবুর একা-একা কেমন কাটছে? সব আয়োজন করছে বন দপ্তর। আলিপুর চিড়িয়াখানার জন্য তৈরি হচ্ছে একটি অ্যাপ। সেই অ্যাপ বৃহস্পতিবার চিড়িয়াখানাতেই উদ্বোধন করবেন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এক ক্লিকেই ঘোরা হয়ে যাবে গোটা চিড়িয়াখানা।
চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখে একটু পশু-পাখিদের সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাবে সেই অ্যাপ থেকেই। লকডাউনের বাজারে বাড়ি বসে অফুরান সময় এভাবে কাজে লাগানোর আর কোনও উপায় থাকতে পরে না বলে মনে করছেন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বলছেন, “বাচ্চারা চাইলেই এই অ্যাপ থেকে গোটা চিড়িয়াখানাটা দেখে নিতে পারবে। তার সঙ্গে একটু পশুপাখিদের স্বভাব বৈশিষ্ট্য সেসবও জেনে নিতে পারবে। লকডাউনের পরিস্থিতিতে এমন সুযোগ আনা হচ্ছে বাচ্চাদের কথা ভেবেই।” এর পাশাপাশি আলিপুর চিড়িয়াখানার ওয়েবসাইটটিরও আপগ্রেড করা হচ্ছে। সুবিধা হল চাইলে যে কোনও দর্শক সেই ওয়েবসাইটে ঢুকে চিড়িয়াখানা বা সেখানকার পশুপাখি সংক্রান্ত কোনও তথ্য বা ছবি আপলোড করতে পারবেন নিজে থেকেই।
গোটা রাজ্যে যত চিড়িয়াখানা রয়েছে গত ১৫-২০ দিনে সেখানে জন্ম নিয়েছে ১২টি পশুছানা। আলিপুরেই যেমন জন্ম হয়েছে একটি জেব্রার ছানার। তাদেরও নামকরণ হবে এদিন। এর মধ্যেই বন দপ্তরের কর্মীদের একদিনের বেতন সমবেত করে তুলে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের ত্রাণ তহবিলে। যার পরিমাণ প্রায় দু’লক্ষ টাকা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.