সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুধবার থেকে দেশভর চালু হল নয়া টেলিকম আইন ২০২৩। এর ফলে ইন্ডিয়ান টেলিগ্রাফ আইন (১৮৮৫) ও ইন্ডিয়ান ওয়্যারলেস টেলিগ্রাফ আইন (১৯৩৩) প্রতিস্থাপিত হয়ে গেল। এই নয়া আইনে টেলি যোগাযোগের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য প্রযুক্তিগত অগ্রগতির দিকটি তুলে ধরা হয়েছে।
এদিন থেকে টেলিকম আইনের ১.২, ১০ থেকে ৩০, ৪২ থেকে ৪৪, ৪৬, ৪৭. ৫০, ৫৮, ৬১, ৬২ ধারাগুলি বলবৎ হবে বলে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। কী বলা আছে নয়া আইনে? জানা যাচ্ছে, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে যে কোনও টেলি যোগাযোগ পরিষেবা বা নেটওয়ার্কের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারবে কেন্দ্র। পাশাপাশি বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক বা যুদ্ধের ক্ষেত্রেও একই পদক্ষেপ করতে পারবে সরকার।
নয়া আইনে কোনও সাধারণ নাগরিক সর্বাধিক নয়টি সিম কার্ড নথিভুক্ত করতে পারবে। যদিও উত্তরপূ্ব ভারত এবং জম্মু ও কাশ্মীরের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ছয়ে সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। যা লঙ্ঘন করলে দিতে হবে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা। দ্বিতীয়বার তা লঙ্ঘিত হলে জরিমানার অঙ্ক বেড়ে ২ লক্ষ টাকা হবে।
পাশাপাশি অন্যের পরিচয়পত্র ব্যবহার করে কেউ সিম কার্ড তুললে তিন বছরের কারাবাস অথবা ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা কিংবা উভয়ের মুখেই পড়তে হবে। পাশাপাশি ব্যবহারকারীর সম্মতি ছাড়া বাণিজ্যিক বার্তা পাঠালে সংশ্লিষ্ট অপারেটরের হতে পারে সর্বোচ্চ ২ লক্ষ টাকা জরিমানা। নয়া আইনে স্প্যাম থেকে মিলবে রেহাই।
পাশাপাশি সরকার চাইলে কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে মোবাইল টাওয়ার বা টেলিকম কেবল বসাতে পারবে। এমনকী জমির মালিক এর বিরোধিতা করলেও যদি প্রশাসন মনে করে এটা প্রয়োজনীয়, তবে তা বসতে দিতে তিনি বাধ্য থাকবেন। এছাড়াও নয়া আইনে জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে সরকার যে কোনও টেলিকম পরিষেবা ব্লক কিংবা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে এবং মেসেজ ও কলের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় অনুমোদনপ্রাপ্ত সাংবাদিকদের। কিন্তু যদি এমন কোনও প্রতিবেদন তাঁরা প্রকাশ করেন যা জাতীয় নিরাপত্তার পরিপন্থী, সেক্ষেত্রে সেই সাংবাদিকদের কল ও মেসেজেও নজরদারি চালাবে প্রশাসন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.