Advertisement
Advertisement
Passport Azad

পাকিস্তানি নম্বরে নিয়মিত WhatsApp ‘পাসপোর্ট আজাদে’র, পাক হ্যান্ডলারদের তথ্য পাচার?

ধৃতের মোবাইল থেকে ২০ হাজার পাতার নথি উদ্ধার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

Passport Azad allegedly chat with Pakistan citizens, claims ED
Published by: Paramita Paul
  • Posted:May 8, 2025 2:29 pm
  • Updated:May 8, 2025 5:46 pm  

অর্ণব আইচ: ‘পাসপোর্ট আজাদে’র সঙ্গে পাক যোগ আরও স্পষ্ট! হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে মিলল প্রমাণ। ধৃতের মোবাইল থেকে ২০ হাজার পাতার নথি উদ্ধার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এই চ্যাট দেখিয়ে তাকে জেরা করতে চায় তদন্তকারীরা। তাই আজাদ হোসেন মল্লিককে আরও কিছুদিন হেফাজতে রাখতে চায় তারা।

ইডি সূত্রে খবর, আজাদের মোবাইল ২০ হাজারের বেশি কন্ট্যাক্ট নম্বর পাওয়া গিয়েছে। সেখান থেকে প্রচুর চ্যাট মিলেছে। সেই সমস্ত কন্টাক্টের আইএসডি নম্বর খতিয়ে দেখতেই বোঝা গিয়েছে সে পাকিস্তানের নাগরিকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত। সেই নম্বরগুলি কি আজাদের পাক হ্যান্ডলারের, জানতে চায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। বেশকিছু ‘ সন্দেহজনক ‘ গ্রুপেও যুক্ত ছিল সে। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর ভয়েস রেকর্ড। কার সঙ্গে কী কথা হয়েছে, তা জানতে সেই ভয়েসগুলি ডিকোড করছে ইডি। এই হোয়াটস অ্যাপ চ্যাট দেখিয়ে আজাদকে জেরা করে করতে চায় ইডি। তাই তাকে আরও পাঁচদিনের জন্য হেফাজতে চাইছেন তদন্তকারীরা।

Advertisement

এ রাজ্যে জাল পাসপোর্টের ব্যবসা ফেঁদেছিল আজাদ। তদন্ত সূত্রে জানা গিয়েছে, জালিয়াতির টাকা ঘুরপথে হাওয়ালা মারফত বাংলাদেশে যেত। সেই টাকা টেরর ফান্ডিং বা সন্ত্রাসে ছড়াতে ব্যবহার করা হচ্ছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আজাদকে জেরা করতে গিয়ে ইডি তদন্তকারীরা দেখছেন, ঠিকমতো বাংলা বলতে পারে না সে। বাংলা বুঝতে পারে। কিন্তু বাংলা বলায় হিন্দির টান মারাত্মক। তারপরেও এতদিন কীভাবে সে বাংলাদেশি পরিচয় দিয়ে বিরাটিতে থেকে গেল, কীভাবে ব্যবসা চালাল, তা নিয়ে ধন্দে ইডি।

ভুয়ো পাসপোর্ট মামলায় আজাদ মল্লিককে গ্রেপ্তার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। প্রথমে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছিলেন যে, আজাদ বাংলাদেশি। কিন্তু আজাদ মল্লিকের উত্তর ২৪ পরগনার বিরাটির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় পাকিস্তানের ড্রাইভিং লাইসেন্স। আজাদ হোসেন নামে ওই পাক ড্রাইভিং লাইসেন্সটি যে আসলে আজাদ মল্লিকেরই, সেই ব‌্যাপারে ইডির গোয়েন্দারা নিশ্চিত হন। এরপর তাকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জেরা করেন। গোয়েন্দারা অনেকটাই নিশ্চিত যে, পাক চর সংস্থা আইএসআইয়ের সঙ্গে সরাসরি যোগ রয়েছে আজাদের। এখনও পর্যন্ত অন্তত দু’শো জনের ভুয়ো ভারতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে তারই ভিত্তিতে জাল পাসপোর্ট বানায় আজাদ। এই সংখ্যাটি ৫০০-এ গিয়ে দাঁড়াতে পারে বলে ধারণা ইডি আধিকারিকদের।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement