সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বছর আড়াই আগে পথ চলা শুরু করেছিল রিলায়েন্স জিও। টেলিকমের জগতে পা রেখেই চমকে দিয়েছিল গোটা দেশকে। রীতিমতো নাড়িয়ে দিয়েছিল বাকি সংস্থাগুলিকেও। একের পর এক অফার ঘোষণা করে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়িয়েছে নিজেদের জনপ্রিয়তা। আর সেই সৌজন্যেই মাত্র আড়াই বছরে ৩০০ মিলিয়ন বা ৩০ কোটি গ্রাহক সংখ্যা ছুঁয়ে ফেলল জিও। যে বৃদ্ধির হার ভারতই নয়, গোটা বিশ্বে বিরল।
এক সময় ভোডাফোন, এয়ারটেলের রমরমায় যখন রিলায়েন্স, টাটা ডোকোমোর মতো টেলিকম পরিষেবা রীতিমতো ধুকছে, ঠিক তখনই মুকেশ আম্বানিরই কোম্পানি বাজারে আনে রিলায়েন্স জিও। আর শুরুতে বিনামূল্যে ভয়েস কল, ডেটা পরিষেবা ঘোষণা করে বাজিমাত করে কোম্পানি। হ্যাপি নিউ ইয়ার প্ল্যান থেকে জিও ধন ধনাধন প্ল্যান, একের পর এক ছক্কা হাঁকিয়ে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে যায় এই কোম্পানি। এদেশে ইন্টারনেট ডেটা ব্যবহারের সংজ্ঞাকেই রাতারাতি বদলে দিয়েছিল জিও। 2G ছেড়ে 3G-তে আসতে না আসতেই জিওর হাত ধরে 4G ব্যবহার শুরু করে দিয়েছিলেন গ্রাহকরা। এমন অভূতপূর্ব বিপ্লবে টিকে থাকতে এক ঝটকায় নিজেদের প্ল্যানে অনেকখানি কাটছাঁট করতে হয়েছিল অন্যান্য টেলিকম সংস্থাগুলিকে। তবে জিওকে তখনও জয়জয়কার অব্যাহত। তাই তো মাত্র ১৭০ দিনে গ্রাহকের সংখ্যা দাঁড়ায় ১০ কোটি। যা বিশ্বরেকর্ড। অন্য কোনও টেলিকম কোম্পানি এত দ্রুত এত গ্রাহক তৈরি করতে পারেনি।
ট্রাইয়ে জমা দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ভারতী এয়ারটেল জানিয়েছিল, গত বছর ডিসেম্বরে তাদের গ্রাহক সংখ্যা ছিল ৩৪০.২ মিলিয়ন। জানুয়ারির শেষে যা দাঁড়িয়েছে ৩৪০.৩ মিলিয়নে। বাজারে আসার ১৯ বছর পর ৩০০ মিলিয়ন বা ৩০ কোটির গণ্ডি পার হয়েছে ভারতী এয়ারটেল। আর সেখানে মাত্র আড়াই বছরেই এই অসাধ্য সাধন করল জিও। এদিকে, ৪০ কোটিরও বেশি গ্রাহক নিয়ে এ দেশে টেলিকম সংস্থাদের তালিকার শীর্ষে ভোডাফোন-আইডিয়া। তবে মুকেশ আম্বানির কোম্পানির গ্রাফ দেখে গ্রাহকরা একটা কথাই বলছেন, ‘জিও’।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.