সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনের দ্বিতীয় পর্ব ঘোষণার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ২০ এপ্রিলের পর কয়েকটি ক্ষেত্র শর্তসাপেক্ষে সামান্য শিথিল করা হতে পারে। সেই ইঙ্গিত স্পষ্ট হয় গত ১৬ এপ্রিল। সেদিনই কেন্দ্র সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল, ২০ এপ্রিলের পর অনাবশ্যক পণ্য ডেলিভারির ক্ষেত্রে ছাড় পাবে ই-কমার্স সাইটগুলি। অর্থাৎ বাড়িতে বসে শুধু খাদ্যসামগ্রী নয়, যে কোনও ধরনের জিনিস অর্ডার করলে তা পৌঁছে যাবে আগের মতোই। কিন্তু রবিবার নিজেদের অবস্থান থেকে সরে দাঁড়াল সরকার। সাফ জানিয়ে দেওয়া হল, লকডাউন চলাকালীন কোনও অনাবশ্যক পণ্য বিক্রি করা যাবে না।
লকডাউনের পরই নিজেদের পরিষেবা সম্পূর্ণ বন্ধ করেছিল ফ্লিপকার্ট। পরে অবশ্য টাটা গ্রুপের সঙ্গে হাত মিলিয়ে একাধিক শহরে অত্যাবশ্যক পণ্য ডেলিভারি দেওয়া শুরু করে তারা। এদিকে লকডাউনের মধ্যে আমাজন, গ্রোফার্স, বিগ বাস্কেটের মতো সংস্থা খাদ্যসামগ্রী, মাস্ক-স্যানিটাইজারের মতো অতি আবশ্যক জিনিসপত্র পৌঁছে দিচ্ছে ক্রেতাদের দোরগোড়ায়। তবে বেশ কিছু ই-কমার্স সাইট পোশাক, জুতো, ব্যাগের মতো অনাবশ্যক জিনিস বিক্রির কথা ভেবেছিল ২০ এপ্রিলের পর। কিন্তু সে গুড়ে বালি। এদিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলা হল, লকডাউনে অনাবশ্যক পণ্য বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি রাখা হল। ৩ মে’র পর বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা হবে।
Supply of non-essential goods by e-Commerce companies to remain prohibited during lockdown: Ministry of Home Affairs (MHA) pic.twitter.com/5wuB3mLXoT
— ANI (@ANI) April 19, 2020
অর্থাৎ বাড়ি বসে আপাতত ভাল-মন্দ শপিং করার কোনও উপায় নেই। একান্ত প্রয়োজনীয় জিনিস ছাড়া কোনও কিছুই অর্ডার করা যাবে না। আসলে দেশের সংকটের মুহূর্তে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না কেন্দ্র। সমস্ত ধরনের সামগ্রী বিক্রি হলে প্রতিটি কোম্পনিতে ডেলিভারি বয়ের সংখ্যাও বাড়াতে হবে। তাছাড়া তাদের পরিবহণেও অতিরিক্ত ছাড় দিতে হবে। কিন্তু যতদিন যাচ্ছে, ততই ভারতে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। তাই ই-কমার্স ক্ষেত্র শিথিল করার সিদ্ধান্ত থেকে এদিন সরে দাঁড়াল কেন্দ্র।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.