সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মা আসছেন। শহরের অলিতে-গলিতে চলছে পুজোর প্রস্তুতি। আর পুজো মানে তো শুধুই রাত জেগে ঠাকুর দেখা নয়, খাওয়া-দাওয়া, দেদার আড্ডা সবকিছুই চলে চারটে দিন। বাঁধা-ধরা গত থেকে বেরিয়ে চারটে দিন রুটিনটা এক্কেবারে বদলে যায়। পুজোর দিনেও সাদা-মাটা খাবার? নৈব নৈব চ। আম বাঙালির গন্তব্য হয় শহরের ছোট-বড় রেস্তরাঁগুলি। আর এমন সময় যদি সুস্বাদু কাবাব খাওয়ার ইচ্ছা হয়, তাহলে? জানেন কোথায় যাবেন? এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হল এমন কয়েকটি রেস্তরাঁ, যেখানে মনের মতো কাবাবও পাবেন, তার গাঁটের কড়িও বিশেষ খরচ হবে না।
পিটার ক্যাট:
কলকাতায় কাবাবের কথা হবে, আর সে তালিকায় পিটার ক্যাটের নাম থাকবে না, হতেই পারে না। পার্ক স্ট্রিট এলাকার প্রসিদ্ধ এই রেস্তরাঁ বিখ্যাত চেলো কাবাবের জন্য। এখানে এসে এই ডিশটি যদি না অর্ডার করে থাকেন তাহলে অর্ধেক স্বাদ থেকে বঞ্চিতই থাকবেন। এছাড়াও মটন শাম্মি কাবাব, ফিশ কাবাব, ডাম-কি-রান, হারেমস জয় কাবাব চেখে দেখতেই পারেন। এখানেই শেষ নয়, এই রেস্তরাঁর জনপ্রিয়তা হওয়ার আরও একটি কারণ হল নন-ভেজ কাবাবের মতো এখানে নানা ধরনের ভেজ-কাবাবও পাওয়া যায়। তন্দুরি আলু, ভেজ শিক কাবাব, পনির টিক্কা কাবাব, পনির ইরানি কাবাব-সহ একগুচ্ছ নিরামিশ কাবাবের নাম খুঁজে পাবেন মেনুতে।
দ্য কাবাব গলি:
রাস্তার কাবাবে অনেকেই ভরসা করতে পারেন না। এর কারণও রয়েছে। যেভাবে ভাগাড়ের মাংসের আতঙ্ক ছড়িয়েছিল শহরে, তারপর আরওই সতর্ক সাধারণ মানুষ। তবে কলকাতার এই গলিকে ভরসা করতেই পারেন। জাকারিয়া স্ট্রিটের নাখোদা মসজিদের কাছে সারি সারি কাবাবের দোকান। অত্যন্ত সস্তায় তুর্কি স্বাদের মজা নিতে পৌঁছে যান শহরের এই গলিতে। হাজি আবদুল হামিদের দোকান, দিলশাদ আহমেদের দোকান, মহম্মদ জুম্মানের দোকান এদের মধ্যে অন্যতম।
আউধ ১৫৯০:
দেশপ্রিয় পার্ক এবং সল্টলেকে রয়েছে এই রেস্তরাঁ। মুঘল আমলের নবাবি স্বাদ পেতে আদর্শ গন্তব্য হতে পারে এটি। গালোটি কাবাব, চিকেন সুগন্ধী কাবাব, মটন কাকোরি কাবাব অর্ডার করতে ভুলবেন না। রেস্তরাঁর দুর্দান্ত পরিবেশ আপনার মন ছোঁবেই। কাবাবের পাশাপাশি বিরিয়ানিও চেখে দেখবেন। একবার খেলে আবার ঘুরে আসতেই হবে।
রং দে বসন্তি ধাবা:
মুর্গ মালাই টিক্কা কাবাব আর পাটিয়ালা দা চিকেন কাবাব খেয়েছেন? না খেয়ে থাকলে অবশ্যই সল্টলেকের এই ধাবায় চলে যান। পেট তো ভরবেই, সেই সঙ্গে সস্তা বিল দেখে মনও ভরে যাবে। তাহলে আর দেরি কেন? বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে প্ল্যানটা সেরেই ফেলুন। পুজোর তো আর কয়েকটা দিনই বাকি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.