ছবি: প্রতীকী
তারক চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি: পাহাড়, নদী ও জঙ্গল ঘেরা প্রাকৃতিক পরিবেশ। তার উপর একটি কুঁড়ি, দু’টি পাতার বাগান। রোদে দাঁড়িয়ে চা বাগানের সৌন্দর্য উপভোগ করতে উত্তরবঙ্গে ছুটে আসেন পর্যটকেরা। সেখানে বাড়তি পাওনা যদি হয় নদী, পাহাড় ও জঙ্গল তবে তো আর কথাই নেই।
শিলিগুড়ি শহর থেকে দেড় ঘন্টার দূরত্বে রয়েছে এমনই মনোরম জনপদ। নাম লোহাগড়। এখানে ঘুরে যদি টুকুরিয়াঝাড় এলাকার গা ছমছমে বন্য পরিবেশে হোম-স্টেতে রাত কাটানোর সুযোগ মেলে পর্যটকরা সুযোগ লুফে নেবেন। এমনই ভাবনা থেকে ওই দুই এলাকা টি-টুরিজমের মাধ্যমে সাজিয়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ।
নকশালবাড়ি ব্লকে রয়েছে লোহাগড় ও টুকুরিয়াঝাড়। ইতিমধ্যেই অফবিট ডেসটিনেশন হিসেবে পর্যটকদের একাংশের মনে দাগ কেটেছে। এবার দুই এলাকায় টি-টুরিজম গড়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছে মহকুমা পরিষদ। মূল লক্ষ্য পর্যটনের উন্নয়নের পাশাপাশি মহকুমা পরিষদের আয় বাড়ানো। সেজন্য প্রকৃতিপ্রেমীদের একাংশের কাছে অতিপ্রিয় লোহাগড় ও টুকুরিয়াঝাড়ের জঙ্গল সংলগ্ন চা বাগানে শুরু হতে চলেছে টি টুরিজম। চা বাগান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগী হয়েছে মহকুমা পরিষদ। পর্যটকদের জন্য চা বাগানে তৈরি হবে থাকার জায়গা হোম-স্টে। এছাড়াও একগুচ্ছ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে পর্যটন দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে ওই বিষয়ে অনেকটা এগিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। যদিও টুকুরিয়াঝাড় বনাঞ্চলের বন আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করে জঙ্গলে হোম-স্টের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি এগোয়নি।
একবার পর্যটন দপ্তর শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদকে সবুজ সংকেত দিলে সেই কাজও সেরে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি অরুণ ঘোষ। তিনি বলেন, “দায়িত্ব নেওয়ার পরই ওই দুটি এলাকায় পর্যটনের বিকাশের লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছি। এবছর সেখানে টি-টুরিজমের পরিকল্পনা শেষ করবার ইচ্ছে রয়েছে।” তিনি জানান, ওই এলাকায় পর্যটনের দিক খোলার জন্য জিটিএ চিফ অনিত থাপার সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। লোহাগড় থেকে মিরিক যাওয়ার একটি কাঁচা রাস্তা থাকলেও আগামীতে একটি নতুন রাস্তা খুলে দেওয়া হবে। ফলে আরও বেশি করে পর্যটক ওই এলাকাতে আসতে পারবেন।
জানা গিয়েছে, ওই দুই এলাকায় পর্যটন বিকাশের প্রচুর সুযোগ রয়েছে। ইতিমধ্যে বহু পর্যটক দুটি এলাকায় ফি-বছর ঘুরতে যান। তবে থাকার জায়গার অভাবে রাত কাটাতে পারেন না। এমনকি মিরিক থেকে পুটুং হয়ে লোহাগড়ে যাওয়ার রাস্তায় সাইকেল ট্রেকিং যুবকদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয় হয়েছে। টুকুরিয়াঝাড় সংলগ্ন এলাকায় ফি-বছর প্রচুর মানুষ পিকনিক করতে যান। সমস্ত দিক মাথায় রেখে দুই এলাকায় পর্যটন বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ শুরু করার পরিকল্পনা করেছেন মহকুমা পরিষদ কর্তৃপক্ষ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.