ছবি: শান্তনু দাস।
নন্দন দত্ত, সিউড়ি: শীত এলেই পর্যটকের ঢল নামে রাজ্যের একমাত্র উষ্ণ প্রস্রবণ কেন্দ্র বক্রেশ্বরে (Bakreswar)। একইসঙ্গে বক্রেশ্বর সতীপীঠ ও সাধনপীঠেও জমা হন পর্যটকেরা। চারিদিকে সুন্দর করে বাঁধানো জলাধারে গরম জল এসে জমে। সেই জলেই স্নান করতে জড়ো হন পুণ্যার্থী থেকে সাধারণ পর্যটকেরা। আরও বেশি সংখ্যক পর্যটকদের টানতে নতুন করে সেজে উঠছে বক্রেশ্বর। মন্দির চত্বরে তৈরি হবে আটচালা। সেজে উঠবে পুকুরের চারপাশ।
উষ্ণ প্রস্রবণের জলাধারে প্রতিদিন স্নান করতে নামেন বহু পর্যটক। পর্যটকদের স্নান শেষে উপচে পড়া ময়লা জল একটি ভাল্বের মাধ্যমে নিকাশ হয়ে যায়। কিন্তু সেই নালায় গাছের পাতা, বোতল, ময়লা জমে ঠিকভাবে জল বেরোতে পারছে না। ফলে ওই জলাধারে সব সময় জল ঘোলা, ময়লা থাকছে। এই খবর পেয়ে জেলা পরিষদের ইঞ্জিনিয়র, অতিরিক্ত জেলাশাসক কৌশিক সিনহা ও অন্যান্য আধিকারিকদের নিয়ে বক্রেশ্বর এলাকা ঘুরে দেখেন বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরি।
বিকাশবাবু জানান, “নতুন করে সেজে উঠবে বক্রেশ্বর ধাম। নিকাশি নালা-সহ মন্দিরের কিছু সংস্কার দরকার। দুই-একদিনের মধ্যেই সে কাজ শুরু হবে। এছাড়া বক্রেশ্বরকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে আরও কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বক্রেশ্বর উন্নয়নের সম্পূর্ণ পরিকল্পনা গড়ে তুলতে একটি সংস্থাকে নিয়োগ করা হবে। ” তিনি আরও বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে গৃহিত প্রস্তাব, তিনটি ঠান্ডা জলের পুকুরকে এক করে দেওয়ার কাজ যত শীঘ্র সম্ভব শুরু করা হবে। পর্যটকদের কাছে বক্রেশ্বরকে আকর্ষণীয় করে তুলতে আরও কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হবে।”
সেবাইত কমিটির সভাপতি সৌমব্রত চৌধুরি বলেন, “আমরা বিধায়কের কাছে মন্দির চত্বরে একটি বড় আটচালার দাবি করেছি। দুর্গা ও শিবমন্দিরের পাশেই সেই আটচালা হলে ভক্তদের সুবিধা হয়।” পাশাপাশি বিধানসভা নির্বাচনের পর মুখ্যমন্ত্রীর তৈরি করে দেওয়া বক্রেশ্বর উন্নয়ন পর্ষদ আর গঠিত হয়নি। তাই জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে পর্ষদ গঠিত হলে তার মাধ্যমে বক্রেশ্বর উন্নয়নের কাজ শুরু হবে বলে এদিন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.