শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: ওই দূরে দাঁড়িয়ে আছে গণ্ডার! গরুমারার জঙ্গলে হাতির পিঠে চেপে গণ্ডার দর্শন। জঙ্গল ভ্রমণের দুর্দান্ত সেই ফিল এবার আরও ভালোভাবে উপভোগ করতে পারবেন পুজোয় ডুয়ার্সের গরুমারা জাতীয় উদ্যানে বেড়াতে আসা পর্যটকরা। করোনার কারণে দুবছর বন্ধ থাকার পর গত বছর হাতি সাফারি শুরু করে গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগ। দুটো হাতি দিয়ে চলছিল সাফারি। তাতে পর্যটকদের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল।
গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের বনাধিকারিক দ্বিজপ্রতিম সেন জানান, পর্যটকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে হাতির সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। হাতি সাফারিতে যুক্ত করা হচ্ছে আরও দুটো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হাতিকে। এতে হাতি সাফারিতে পর্যটকদের আসন সংখ্যাও বাড়ছে বলে বনাধিকারিক জানিয়েছেন। বন্যপ্রাণ বিভাগের এই সিদ্ধান্তে খুশি ডুয়ার্সের পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে গরুমারা জাতীয় উদ্যানে ২৮টি হাতি রয়েছে। এর মধ্যে ৪টি বাচ্চা হাতি। ৮০ বর্গকিলোমিটার জঙ্গল প্রহরার কাজে মুলত এই হাতিদের ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এদের মধ্যে জেনি এবং মাধুরী নামে দুই হাতি পর্যটক ঘোরানোর কাজে ব্যবহার করত বন্যপ্রাণ বিভাগ।
তিন মাস বন্ধ থাকার পর ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে খুলে যাবে জঙ্গল। বনাধিকারিক দ্বিজপ্রতিম সেন আরও জানান, হাতি সাফারিতে আরও দুটো হাতি যুক্ত হলে পর্যটকদের আসন সংখ্যা বেড়ে ১২ থেকে থেকে ২৪ হয়ে যাবে। পাশাপাশি পুজোয় পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে রামশাই বাটারফ্লাই পার্ক চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের ঘোরার জন্য কালীপুর, ধূপঝোড়া, হর্নবিল পর্যটক আবাস সাজিয়ে তোলার পাশাপাশি যাত্রাপ্রসাদ, চুকচুকি, চাপড়ামারি, চন্দ্রচূড় ওয়াচ টাওয়ার সংস্কারের কাজ শেষ করে এনেছে গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগ। লাটাগুড়ি পর্যটন ব্যবসায়ী সংগঠনের সম্পাদক দিব্যেন্দু দেব জানান, ডুয়ার্সে বেড়াতে আসা পর্যটকদের কাছে গরুমারা একটি অন্যতম ঠিকানা। হাতি সাফারি পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণের। এতে পুজোয় পর্যটকদের ভিড় বাড়বে বলে আশাবাদী তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.