ছবি: সংগৃহীত
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সে এক সময় ছিল। তখন হাওয়া বদলের জন্য পশ্চিমে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হতো। নিশ্বাসে পরিষ্কার হাওয়া, সঙ্গে ভালো খাওয়া-দাওয়া, এতেই চাঙ্গা হয়ে উঠত শরীর। মন পেত আলস্যের শান্তি। এমন সময় তো ফিরেও আসতে পারে। এক দিনেই পৌঁছে যেতে পারেন ঝাড়খণ্ডের গিরিডিতে (Giridih)।
ঝাড়খণ্ডের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র গিরিডি। বিশেষ করে যাঁরা ধর্মস্থানে যেতে ভালোবাসেন, তাঁদের এই জায়গা অত্যন্ত পছন্দের। পাহাড়ের বুক চিরে তৈরি হয়েছে নানা মন্দির। শুধু মন্দিরই নয়, প্রকৃতিপ্রেমীদেরও এ স্থান মুগ্ধ করে দেবে। প্রথমেই চলে যান পরশনাথ পাহাড়ে। ৪৪৩১ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট এই পাহাড়টিই দক্ষিণ হিমালয়ের উচ্চতম অংশ। এখানকার জৈন মন্দিরটি দেশের প্রাচীনতম মন্দিরগুলোর মধ্যে একটি। দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা হাজির হন এখানে। কেউ আবার শুধুমাত্র পাহাড়ের সৌন্দর্যের সাক্ষী হতেও পৌঁছে যান পরশনাথ।
পরশনাথ থেকে এবার খানিকটা নিচে নেমে আসুন। চলে যান খান্দোলি পার্কে। জলকে নানাভাবে কাজে লাগিয়ে তৈরি হয়েছে এই পরিবেশবান্ধব পার্ক। হাতি ও উটের পিঠে চেপে পার্কের মধ্যে ঘোরার ব্যবস্থাও রয়েছে। ৬০০ ফুট উচ্চতার ওয়াচ-টাওয়ার থেকে খান্দোলির অপরূপ ভিউ ক্যামেরাবন্দি করতে ভুল করবেন না।
পরের দিন দেখে নিন উসরি ফলস। অন্যান্য ঝর্নার সঙ্গে এর তফাৎ হল এই যে, মাত্র ৪০ ফুট উচ্চতা থেকে জল নিচে নেমে আসে। চড়ুইভাতির জন্য এই জায়গা বেশ জনপ্রিয়।
গিরিডিতে গেলে অবশ্যই মধুবনে যাবেন। এই গ্রামে দু’টি প্রাচীন জৈন মন্দির রয়েছে। স্থানীয়দের থেকে জানা গিয়েছে মন্দির দু’টি প্রায় ২০০০ বছর পুরনো। রয়েছে একটি জাদুঘরও। যেখানে জৈন ধর্ম সংক্রান্ত বিভিন্ন জিনিস সংরক্ষিত আছে। হাতে সময় থাকলে হরিহর ধামও ঘুরে নিতে পারেন।
কীভাবে যাবেন
হাওড়া থেকে গিরিডি যাওয়ার প্রচুর এক্সপ্রেস ট্রেন রয়েছে। মধুপুর জংশনে গিয়ে নামতে হবে। এছাড়া বাস রাস্তাতেও যেতে পারেন।
কোথায় থাকবেন
স্টেশন থেকে পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুব একটা দূরে নয়। চাইলে স্টেশনের কাছাকাছি হোটেল ও গেস্ট হাউস বুক করতে পারেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.