স্টাফ রিপোর্টার, শিলিগুড়ি: পর্যটকদের জন্য সুখবর। এবার থেকে সিকিম ঘুরতে গেলে তাঁরা সরাসরি হোটেলে নামতে পারবেন। আগে এই সুবিধা ছিল না। পাশাপাশি একইভাবে সিকিম থেকে আগত পর্যটকরাও হোটেলে নামতে পারবেন। তবে পর্যটনকেন্দ্রে যেতে চাইলে স্থানীয় গাড়ি ভাড়া নিতে হবে। মঙ্গলবার এবিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর হল রাজ্য সরকার ও সিকিম সরকারের মধ্যে। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও সিকিমের পরিবহণ মন্ত্রী সঞ্জিত খারেল। ফিরহাদ হাকিম বলেন, “এই চুক্তিতে পর্যটনে আরও জোয়ার আসবে।” আবার সিকিমের পরিবহণমন্ত্রী বলেন, “এটা ঐতিহাসিক দিন দুই রাজ্যের জন্য। এই চুক্তি দুই রাজ্যের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করবে।”
দুই রাজ্যের গাড়ি চলাচল নিয়ে বরাবর একটা সমস্যা ছিল। সিকিম কোনওভাবেই পশ্চিমবঙ্গের গাড়ি তাদের রাজ্যে ঢুকতে দিত না। এতে পর্যটকদের হেনস্তা হয়। কারণ, তাদের সিকিম সীমান্তে নেমে আবার ওই রাজ্যের গাড়ি নিয়ে হোটেল পৌঁছতে হত। অবশেষে দুই রাজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিল যে এখন থেকে কোনও রাজ্য গাড়ি পাকড়াও করবে না। পর্যটকরা গাড়ি নিয়ে হোটেল পর্যন্ত যেতে পারবেন। পাশাপাশি এদিন বিভিন্ন রুটে গাড়ির সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। শিলিগুড়ি-গ্যাংটক রুটে আগে সরকারি বাস ছিল ২৫টা তা বাড়িয়ে ৩০টি করা হল। আবার গ্যাংটক থেকে শিলিগুড়ি ৪৫টি বাস চলত তা বাড়িয়ে ৫০টি করা হয়েছে।
এছাড়া শিলিগুড়ি-নামচি রুটে আগে ৩টে বাস ছিল, তা বাড়িয়ে ৪টে করা হল। আবার গ্যাংটক থেকেও ৩টে বাস ছিল, তা বাড়িয়ে ৫টা করা হল। এর বাইরে শিলিগুড়ি-নামচি একটি নতুন রুট চালু হল। ওই রুটে যথাক্রমে শিলিগুড়ি থেকে যাবে ২টো বাস ও নামচি থেকে আসবে ৩টে বাস।
দীর্ঘদিনের দাবি মেনে কোচবিহারের সিতাই থেকে গ্যাংটক পর্যন্ত বাস চালু হল। এই রুটে আমাদের রাজ্য চালাবে ২টো বাস ও সিকিম চালাবে ১টি বাস। এমনকী, ট্যাক্সির সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। আগে ছিল ২ হাজার ৫০০ এখন করা হল ৩ হাজার। এ প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “দুই রাজ্য গাড়ি ঢোকার জন্য কোনও কর নেবে না। আর এই চুক্তিতে পর্যটকের সংখ্যা আরও বাড়বে।” অন্যদিকে সিকিমের পরিবহণমন্ত্রী সঞ্জিত খারেল বলেন, “বহুদিনের সমস্যা মিটে যাওয়ায় সুবিধা হল। এই উদ্যোগ নেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.