সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পৌষের শেষ মানেই বাঙালির কাছে মকর সংক্রান্তি (Makar Sankranti 2024)। নতুন গুড়, পিঠে, পুলির মিষ্টি স্বাদে জমে যায় শীতকালের এই একটা দিন। সংক্রান্তির এই উৎসব সারা দেশেই পালিত হয়। কোথাও ভিন্ন নামে, কোথাও ভিন্ন মেজাজে। যদি ইচ্ছে থাকে এর সাক্ষী হতেই পারেন।
বাংলার পড়শি অসম। পৌষের শেষে এখানে ভোগালী বিহু বা মাঘ বিহু পালিত হয়। তিন দিন ধরে নাকি এই উৎসব চলে। নতুন ধান ওঠার আনন্দ তো থাকেই, তার সঙ্গে খাওয়া-দাওয়ার আয়োজনও থাকে। কারণ ‘ভোগালী’ শব্দের অর্থই ভোজন। বাংলার মতোই অসমের এই উৎসবে পিঠে তৈরি হয়।
উত্তরপ্রদেশে আবার এই দিনে খিচুড়ি খাওয়া হয়। নতুন চালের সঙ্গে ডাল তো মেশানোই হয়, তার সঙ্গে থকে মরশুমের নতুন ফলনের সবজি। ঠান্ডার সময় গরম এই খিচুড়ির স্বাদ বেশ উপভোগ্য। শেষ পাতে থাকে গুড়ের মিষ্টি।
পোঙ্গলের নাম অনেকেই শুনে থাকবেন। দাক্ষিণাত্যে ধুমধাম করেই এই উৎসব পালিত হয়। ‘পোঙ্গল’ শব্দের অর্থ ‘বিপ্লব। তামিলনাড়ুতে নতুন ফসল কাটার পর এই উৎসব চারদিন ধরে পালন করা হয়। সূর্যদেবকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে নানা সুস্বাদু পদ রান্না করা হয়।
‘ঢিল দে ঢিল দে দে রে ভাইয়া…’, সলমন খান, ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ সিনেমার এই গান নিশ্চয়ই মনে আছে। ঠিক এই মেজাজেই মকর সংক্রান্তির দিন গুজরাটে ঘুড়ি ওড়ানো হয়। উৎসবের নাম উত্তরায়ণ।
পাঞ্জাবে মকর সংক্রান্তির উৎসবের নাম মাঘি। ভোরে স্নান করে উঠে দ্বীপ জ্বালিয়ে ভগবানের আরাধনা করা হয়। দিল্লি ও হরিয়ানায় দেশি ঘি দিয়ে মিষ্টি প্রস্তুত করা হয়। এছাড়া হালুয়া ও ক্ষীর খাওয়ারও রীতি আছে। ভাইরা এদিন বোনেদের বাড়ি আসে, তাকে গরম জামাকাপড় উপহার দেয়। একে বলে ‘সিধা’। বিবাহিত মহিলারা তাদের শ্বশুরবাড়ির লোকেদের উপহার দেয়। একে বলে ‘মানানা’। লোকসংগীত গেয়ে এই দিনটি উদযাপন করা হয়। অনেকে আবার গঙ্গাসাগরে পূণ্যস্নান করেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.