সংগ্রাম সিংহ রায়, শিলিগুড়ি: ক্যালেন্ডার বলছে, বসন্ত এসে গিয়েছে। ভোরের দিকে ঠান্ডা হাওয়া, বেলা বাড়লে গরম আবার রাতে শিরশিরে ভাব। আবহাওয়াও জানান দিচ্ছে, ‘বসন্ত জাগ্রত দ্বারে’। শীতপোশাক ধুয়ে এবার আলমারিতে ঢোকানোর সময়। কিন্তু ভরা বসন্তেও যদি চোখ মেললেই বরফের দেখা মেলে, তবে কেমন হয়? ভাবুন একবার ফাঁকা রাস্তা দিয়ে দৌড়ে চলেছে একটি গাড়ি। ওই গাড়িতে বসে যতদূর চোখ যায় শুধু সাদা আর সাদা। ব্যস! হুজুগে বাঙালির এই কথা শুনেই বেড়াতে যাওয়ার ইচ্ছা মনে উঁকি দিচ্ছে তো? নিশ্চয়ই ভাবছেন ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে যেতে পারলে মন্দ হয় না। ব্যস্ত শিডিউল সামলে দিনকয়েক ছুটির বন্দোবস্ত করতে পারলে আপনার গন্তব্য হোক নর্থ সিকিমের ছাঙ্গু লেক ও তার আশেপাশের এলাকা।
এক্কেবারে অযাচিতই বলা চলে। ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে সেভাবে নর্থ সিকিমের সোমোগোয় বরফ দেখেননি কেউই। কিন্তু ব্যতিক্রম বলেও তো কিছু থাকে। সেই ব্যতিক্রমী ছোঁয়া বজায় রেখেই ভরা বসন্তে বরফের চাদরে ঢাকল সোমোগো এলাকা অর্থাৎ ছাঙ্গু লেক। যতদূর গাড়ি ছুটছে শুধু সাদা আর সাদা। রোদ পড়লেই চকচক করে উঠছে চতুর্দিক। এই সময় ভিড় কম হলেও, পর্যটক কম নয়। যথেষ্টই রয়েছে ভিড়। আচমকা রবিবার সন্ধে থেকে বরফের দেখা পেয়ে বেজায় খুশি হয়েছেন তাঁরা। সোমবারও সোমোগোর অবস্থা প্রায় একইরকম। দিনভর চলে তুষারপাত। আনন্দে মেতে ওঠেন তাঁরা। যাঁরা ভেবেছিলেন শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মন ভুলিয়ে বাড়ি ফিরতে হবে, তাঁদের কাছে বাড়তি পাওনা তুষারপাত। বরফের ঠান্ডায় কাবু হননি পর্যটকরা। পরিবর্তে বরফ ছুঁড়ে বেড়ানোর আনন্দ চেটেপুটে উপভোগ করলেন প্রায় প্রত্যেকেই। চলল বরফের মাঝে দেদার ফটোশুট।
তাই ইতিমধ্যে বেড়াতে যাওয়ার ইচ্ছা হলে আপনারও গন্তব্য হতে পারে ছাঙ্গু লেক। গ্যাংটক থেকে গাড়ি ভাড়া করে চলে যাওয়া যায় সোজা সোমোগোয়। সেখানে গিয়ে সময় কাটিয়ে লাচুং কিংবা লাচেনে ফিরে এসে কোনও হোটেল ভাড়া নিয়ে থাকতে পারেন। আবার সংখ্যায় কম হলেও, হোটেল পেতে পারেন সোমোগোয়। থাকা-খাওয়া নিয়ে লাচুং, লাচেনের মতোই খরচ হবে সোমোগোয়। একটু নিরিবিলিতে বরফের মাঝে প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটাতে চাইলে সোমোগোতেই না হয় কাটিয়েই আসুন কটাদিন। দেখবেন বছরভর দৌড়ঝাঁপের অক্সিজেনের জোগানই হয়তো দেবেই ছাঙ্গু ভ্রমণ।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.