অরূপ বসাক, মালবাজার: বর্ষায় পর্যটকদের জন্য ঝাঁপ ফেলেছে জঙ্গল। আগামী ৩ মাস ডুয়ার্সের জঙ্গল সাফারির স্বাদ আর নেওয়া যাবে না। তা বলে কি জঙ্গল সুন্দরী ডুয়ার্সে কমবে পর্যটকের আনাগোনা? যাতে পর্যটন ব্যবসায়ীদের পেটে টান না পরে, তার জন্য বর্ষার ডুয়ার্সে সেজে উঠছে নতুন রূপে। পর্যটকের জন্য় থাকছে বিশেষ আকর্ষণ।
বর্ষার জলে ভিজে ডুয়ার্সের জঙ্গল যেন আরও সবুজ হয়ে ওঠে। চনমনিয়ে ওঠে ডুয়ার্সের গরুমারা জাতীয় উদ্যান, চাপড়ামারি, জলদাপাড়া, বক্সা, নেওড়া-সহ একাধিক জঙ্গল। কিন্তু এই সময় সেখানে প্রবেশ নিষেধ। করা যায় না জঙ্গল সাফারি। ১৫ জুন থেকে বন্ধ থাকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। মনে করা হয়, এই তিনমাস বর্ষায় জঙ্গলের প্রার্ণীদের প্রজননের সময়। ফলে তারা যাতে বিরক্ত না হয়, তাই সেখানে পর্যটকের প্রবেশ নিষিদ্ধ। কিন্তু এই বর্ষায় তখন ডুয়ার্সের রূপটা পুরো অন্যরকম। ঝমঝম করে একটানা বৃষ্টি, টানা ঝিঝি পোকার আওয়াজ, প্রচুর রঙ-বেরঙের পাখিতে মোহময়ী রূপ ধারণ করে ডুয়ার্সের বিভিন্ন প্রান্ত। সেই রূপ দেখতে প্রতি বছর ভিড় জমায় বহু পর্যটক। তাঁদের জন্য় এবার বিশেষ ব্য়বস্থা থাকছে সেখানে।
ডুয়ার্সে এলে পর্যটকরা স্বাদ নিতে পারবেন ইলিশ ও বোরোলির। বর্ষায় পর্যটকদের পাতে পড়বে ইলিশ ও বোরোলি মাছ। এমনই উদ্যোগ নিয়েছে পর্যটন ব্যবসায়ী পিন্টু বক্সী। মূর্তির একটি বেসরকারি রিসর্টে ইলিশ ও বোরোলি উৎসবের সূচনা হয়েছে। উৎসবের সূচনা করেন সমাজসেবী ফরিদুল ইসলাম-সহ অন্যরা। এদিন ঐতিহ্যবাহী ধামসা মাদলের তালে ও আদিবাসী নৃত্যের মাধ্যমে এই উৎসবের সূচনা হয়। করা হয় প্রদীপ প্রজ্জ্বলনও।
উদ্যোক্তাদের তরফে পিন্টু বক্সী জানান, “বর্ষায় জঙ্গল বন্ধ থাকলেও ডুয়ার্সের রূপ আরও সুন্দর হয়ে ওঠে। বর্ষায় পর্যটকরা ডুয়ার্সে এসে যাতে ইলিশ ও বোরোলির স্বাদ পেতে পারে তার জন্যই এই উদ্যোগ। খুব কম খরচেই পর্যটকরা এই পরিষেবা পাবে।” এদিন ঘুরতে আশা পর্যটক তাপস সরকার, প্রদীপ সরকার বলেন, “লাটাগুড়ি, গরুমারা ঘুরতে এসে এই ইলিশ উৎসবের খবর পাই। এরপর পেটপুরে খাওয়া দাওয়া করি এখানে। খুবই ভাল উদ্যোগ।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.