তৃপ্তির শেষ বিন্দুটিকে নিংড়ে নিতে বাঙালি জানে। তাই অল্প কয়েকদিনের অতিথি হলেও শীতকুমারের আতিথেয়তা নেহাতই কম নয়। জাঁকিয়ে পড়া শীতের সঙ্গে জমে ওঠা চড়ুইভাতি, শীতকে অভ্যর্থনারই একটা প্রয়াস। শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তিকে নিমেষেই ঝেড়ে ফেলতে কাছাকাছি একটা চড়ুইভাতির আয়োজন নেহাত মন্দ নয়। কিন্তু যাবেন কোথায়? থাকল কিছু নিদর্শন। লিখছেন মানসী দাস মণ্ডল৷
দামোদর নদী, পাল্লা রোড
যদি একটু নিরিবিলি জায়গা পছন্দ করেন, তাহলে বর্ধমানের দামোদর নদীর তীরে পাল্লা রোডের কথা ভাবতে পারেন। কলকাতা থেকে ৮৫ কিলোমিটার দূরে। হাওড়া থেকে কর্ড লাইনের ট্রেনে, শক্তিগড়ের আগের স্টেশন পাল্লা রোড। সময় লাগে ঘণ্টাখানেক। স্টেশন থেকে টোটো বা রিকশায় সোজা পাল্লা রোড। শীতের সময় নদীর সৌন্দর্য বেড়ে যায় অনেকখানি। সাদা বালির তীর ধরে আলসে পায়ে হেঁটে আসা যায় অনেকখানি। মাঝে মাঝে জেগে ওঠা বালির চরকে দেখে মনে হয় যে, দামোদরের বিভিন্ন ভঙ্গিমার অবয়ব। এখানকার নৌকায় চড়ে মাঝি ভাইয়ের সঙ্গে গল্প করতে করতে ঘুরে আসতে পারেন খানিকটা বা নদীর জলে স্নানের ইচ্ছাও মেটানো যায়। যাওয়ার আগে লজ বুক করে যেতে পারেন বা নদীর তীরেও চড়ুইভাতির ব্যবস্থা করতে পারেন। সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় যাবতীয় সামগ্রী সঙ্গে নেবেন অবশ্যই।
সবুজদ্বীপ
পরিচিত সবুজদ্বীপকেও পিকনিক স্পট হিসাবে আপনার পছন্দের তালিকাতে রাখতেই পারেন। কলকাতা থেকে প্রায় ১৪৭ কিলোমিটার। হাওড়া থেকে কাটোয়া লোকালে বলাগড় বা সোমরাবাজার নেমে ভ্যানে করে সুখড়িয়া গ্রাম ফেরিঘাট। সেখান থেকে নদীর বুক চিরে নৌকায় সবুজদ্বীপ। এখানে পৌঁছে স্পট বুক করতে হবে। পিকনিকের সমস্ত উপকরণ পাবেন এখানে-ছোটদের প্লে-গ্রাউন্ড, ওয়াচ টাওয়ারও আছে। জল ঘেরা এই দ্বীপে সবুজের সমারোহ খানিকটা বেশি অর্জুন, মেহগনি, ইউক্যালিপটাসের ছায়ায় নির্ভেজাল সময় কাটানোর মতো উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে এখানে। নিজের মতো করে রান্না করে বা স্থানীয় রেস্তরাঁতে মধ্যাহ্নভোজন সারতে পারেন অনায়াসেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.