অভিষেক চৌধুরী, কালনা: স্বাদে-গন্ধে আর জনপ্রিয়তায় শীর্ষে থাকা কালনার ‘নোড়া পান্তুয়া’ এবং কাটোয়ার ‘পরাণের পান্তুয়া’র কথা কে না জানে? নাম শুনলেই আজও জিভে জল চলে আসে। এই দুই মিষ্টি দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষকে আজও টেনে নিয়ে আসে কালনা-কাটোয়ায়। এমনই দুই জনপ্রিয় মিষ্টির ‘জিওগ্র্যাফিক্যাল আইডেণ্টিফিকেশন ট্যাগ’ পেতে উদ্যোগী হলেন পূর্বস্থলী দক্ষিণের বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাণীসম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। চলতি সপ্তাহেই এবিষয়ে কলকাতায় রাজ্যের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং জৈব প্রযুক্তি বিভাগের মন্ত্রী উজ্বল বিশ্বাসের দ্বারস্থ হন তিনি। ওই দুই মিষ্টির জিআই অনুমোদনের জন্য তিনি মন্ত্রীকে একটি আবেদনও জানান লিখিতভাবে। মন্ত্রী উজ্বল বিশ্বাস এই বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন স্বপন দেবনাথকে।
পর্যটন কেন্দ্র ও প্রাচীন জনপদ হিসাবে সুনাম রয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনা ও কাটোয়া মহকুমার। কালনায় প্রচুর পরিমাণে মন্দির থাকার কারণে মন্দির নগরী হিসাবেও তার সুনাম রয়েছে। প্রতি বছর দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা বেড়াতে আসেন এই দুই মহকুমায়। আর এসেই তারা কালনার নোড়া পান্তুয়ার পাশাপাশি সন্দেশের যেমন খোঁজ করেন, তেমনই কাটোয়ায় এসে পরাণের পান্তুয়া খেয়ে নিজেদের ‘পরাণ’ ভরিয়ে নেন। তাই এই দুই মিষ্টি আজ দেশে বিদেশে সমাদৃত।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নোড়া পান্তুয়া ও পরাণের পান্তুয়ার এই দুই মিষ্টির জিআই তকমা পাওয়ার জন্য এই দুই মিষ্টি সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য সংশ্লিষ্ট ব্লক ও মহকুমা প্রশাসন ব্যবসায়ী ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জোগাড় করে। জিআই তকমা পেলে ব্যবসার পরিধি আরও বাড়বে বলে মনে করেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। তাই দ্বিতীয়বার জিআই ট্যাগ পাওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। এর আগে ২০২ সালেও তিনি এই আবেদন করেছিলেন। মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের কথায়, “অনন্য সুস্বাদু এই দুই মিষ্টির জিআই তকমা পেতে আবেদন জানানো হয়। তা পেলে আমাদের এই দুই মিষ্টির ব্যবসা আরও বাড়বে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.