দেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রথম ভারত-পাক লড়াই। পাকিস্তান সমর্থিত বিদ্রোহীরা জম্মু ও কাশ্মীরে হামলা চালায়। ভূস্বর্গের তৎকালীন রাজা ভারতের সাহায্য চান। দুই দেশের মধ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হয়। ১,১০০-১,৫০০ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়।
ভারত-পাক সংঘাতে শহিদ ভারতীয় সেনা
বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন
তোরা যুদ্ধ করে করবি কী তা বল...
তাঁরা জওয়ান-জননী। প্রাণের বিনিময়ে যাঁরা দেশ রক্ষা করেছেন, সেই সব বীরের জননী। অসমসাহসী সেনার আত্মোৎসর্গের নেপথ্যে এই বীরাঙ্গনাদের নিরুচ্চার আত্মত্যাগ। মাতৃদিবসে তাঁদের শ্রদ্ধা জানাতেই সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল-এর বিশেষ নিবেদন ‘সীমান্ত’। ‘সীমান্ত’ শব্দের মাঝেই রয়েছেন সেই ‘মা’। নিজেকে আড়ালে রেখে। তাঁদের কথা জানতে ও জানাতেই এই উদ্যোগ।
এ-পৃথিবী যুদ্ধ নয়, শান্তি চায়। তবু জরুরি প্রতিরক্ষা, প্রতিদিন। ‘তোরা যুদ্ধ করে করবি কী তা বল?’– প্রশ্ন চিরকালীন। যুদ্ধমোদী রাষ্ট্রের পিপাসা তবু মেটে না। সভ্যতার ইতিহাস লেখা হয় রণরক্তসফলতায়। যুদ্ধের ভয়াবহতা সত্ত্বেও যুদ্ধের অনিবার্যতা তাই সভ্যতার সংকট। সেই সংকটের মুখে দাঁড়িয়েই দেশকে আগলে রাখেন ভারতীয় সেনা। আর সন্তানকে সীমান্তে পাঠিয়ে অতন্দ্র দিন যাপন করেন তাঁদের মায়েরা। যুদ্ধ শেষ হলে, শহিদকে কুর্নিশ জানায় গোটা দেশ। তাঁর বীরত্বের তথ্য সরক্ষিত থাকে মহাকালের মহাফেজখানায়। তবু, বীরজননীর চোখের জল ক’জনই বা মনে রাখেন। তাঁর কথা তো আর আগামী প্রজন্মের জন্য লেখা থাকে না ওয়্যার মেমোরিয়ালে। লেখা থাকে না মা-ছেলের এই অনন্য কাহিনি, যেখানে নিছক সন্তানকে স্নেহে আগলে রাখা নয়, বরং দেশমাতৃকাকে আগলে রাখাই মা-ছেলের যুগপৎ আখ্যান। ‘ভারত-জননী’দের সেই ব্যক্তিগত যুদ্ধকে কুর্নিশ জানাতেই এই উদ্যোগ।
বীর শহিদকে স্মরণ সেই বীরাঙ্গনাদেরই স্মরণ। যে মায়েদের নিঃস্বার্থ ত্যাগ এ-দেশকে ভালো রেখেছে, আজ মাতৃদিবসে তাঁদের সকলকে সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল জানায় আভূমি প্রণাম।