মায়েরা থাকে সীমান্তেও...

0

+

ভারত-পাক সংঘাতে শহিদ ভারতীয় সেনা

বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন



তোরা যুদ্ধ করে করবি কী তা বল...



সন্তান সীমান্তে থাকলে মায়ের বুক তো কাঁপবেই

২০০২ সাল। জম্মুতে একটা সেনা ছাউনিতে জঙ্গি হামলা হয়। মা ফোন করে জানতে চাইলেন, আমি কোথায় আছি। এখনও মনে পড়ে ওঁর উৎকণ্ঠায় ভরা স্বর। লিখছেন মেজর ড. দ্বৈপায়ন বিশ্বাস।

জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপী গরিয়সী

যুদ্ধ লেগেছে। যুদ্ধে যাঁরা দেশরক্ষায় প্রাণ দিচ্ছেন, তাঁদের মায়ের কোলগুলি খালি হচ্ছে। সে কোল শুধু সেই দূর মফসসলের, গাঁয়ের মায়ের কোলটি নয়, দেশ মাতৃকার কোলও তো। দেশ যদি মাতৃস্বরূপা না হত যুদ্ধে যাওয়া সৈনিকদের ভিতরে সেই আবেগ ভর করত? লিখছেন অমর মিত্র।

সীমান্ত ও সিনেমার মধ্যেই লুকিয়ে ‘মা’, সীমান্তকেন্দ্রিক ছবির মায়েরা কীরকম?

সীমান্ত ও সিনেমা শব্দ দু'টোর মধ্যেই লুকিয়ে আছে ‘মা’। সীমান্তকেন্দ্রিক ছবির মায়েরা কীরকম? ধূ ধূ প্রান্তরের মতো নিঃস্ব? একচোখে অপেক্ষা আর একচোখে আক্ষেপ? লিখছেন রণদীপ নস্কর।

ভারতে এবারের মাতৃদিবস উৎসর্গ করা হোক সেই মায়েদের প্রতি যাঁদের সন্তানরা এখন রণক্ষেত্রে

ভারতে এবারের মাতৃদিবস উৎসর্গীকৃত হওয়া উচিত সেই মায়েদের প্রতি যাঁদের সন্তানরা এখন রণক্ষেত্রে। সন্তানের চিন্তায় তাঁরাও তো মনে মনে রণক্ষেত্রেই। যুদ্ধক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে থাকা এই মায়ের গায়ে সেনার পোশাক নেই, অস্ত্রের ঝনঝনানি নেই, কিন্তু হৃদয়ে প্রতিটি মুহূর্তে রক্তক্ষরণ রয়েছে। লিখছেন সুতীর্থ চক্রবর্তী।

সন্তানের গুলি খাওয়ার স্বপ্ন দেখেন সীমান্তের মা

বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে ছুটছে গেদে লোকাল। পোয়াতিরা সব এক কামরায়। কাকতালীয়? সীমান্তের মা কখনও নিশ্চিন্ত থাকে না। সন্তান গুলি খেয়ে এদিক-সেদিকে পড়ে থাকে। খবর আসে। একই খবর ফিরে ফিরে আসে। লিখছেন মঞ্জীরা সাহা।

ইতি, তোমার মা

  • Mothers of India: খোকা ফিরে আয়, আজও শহিদ বাবলুর শোকে বাঁচেন একাকী মা

  • Mothers of India: পুলওয়ামা কেড়েছে ছেলে, আজও শহিদ সুদীপের শোকে হাহাকার মায়ের

  • Mothers of India : আমার ছেলে মরেনি! শোকে পাথর শহিদ ঝন্টু আলির সন্তানহারা মা

তাঁরা জওয়ান-জননী। প্রাণের বিনিময়ে যাঁরা দেশ রক্ষা করেছেন, সেই সব বীরের জননী। অসমসাহসী সেনার আত্মোৎসর্গের নেপথ্যে এই বীরাঙ্গনাদের নিরুচ্চার আত্মত্যাগ। মাতৃদিবসে তাঁদের শ্রদ্ধা জানাতেই সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল-এর বিশেষ নিবেদন ‘সীমান্ত’। ‘সীমান্ত’ শব্দের মাঝেই রয়েছেন সেই ‘মা’। নিজেকে আড়ালে রেখে। তাঁদের কথা জানতে ও জানাতেই এই উদ্যোগ।

এ-পৃথিবী যুদ্ধ নয়, শান্তি চায়। তবু জরুরি প্রতিরক্ষা, প্রতিদিন। ‘তোরা যুদ্ধ করে করবি কী তা বল?’– প্রশ্ন চিরকালীন। যুদ্ধমোদী রাষ্ট্রের পিপাসা তবু মেটে না। সভ্যতার ইতিহাস লেখা হয় রণরক্তসফলতায়। যুদ্ধের ভয়াবহতা সত্ত্বেও যুদ্ধের অনিবার্যতা তাই সভ্যতার সংকট। সেই সংকটের মুখে দাঁড়িয়েই দেশকে আগলে রাখেন ভারতীয় সেনা। আর সন্তানকে সীমান্তে পাঠিয়ে অতন্দ্র দিন যাপন করেন তাঁদের মায়েরা। যুদ্ধ শেষ হলে, শহিদকে কুর্নিশ জানায় গোটা দেশ। তাঁর বীরত্বের তথ্য সরক্ষিত থাকে মহাকালের মহাফেজখানায়। তবু, বীরজননীর চোখের জল ক’জনই বা মনে রাখেন। তাঁর কথা তো আর আগামী প্রজন্মের জন্য লেখা থাকে না ওয়্যার মেমোরিয়ালে। লেখা থাকে না মা-ছেলের এই অনন্য কাহিনি, যেখানে নিছক সন্তানকে স্নেহে আগলে রাখা নয়, বরং দেশমাতৃকাকে আগলে রাখাই মা-ছেলের যুগপৎ আখ্যান। ‘ভারত-জননী’দের সেই ব্যক্তিগত যুদ্ধকে কুর্নিশ জানাতেই এই উদ্যোগ।

বীর শহিদকে স্মরণ সেই বীরাঙ্গনাদেরই স্মরণ। যে মায়েদের নিঃস্বার্থ ত্যাগ এ-দেশকে ভালো রেখেছে, আজ মাতৃদিবসে তাঁদের সকলকে সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল জানায় আভূমি প্রণাম।