সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছিলেন শিক্ষিকা, হলেন অ্যাডাল্ট সাইটের লাস্যময়ী মডেল। তাতেই চুটিয়ে রোজগার করছেন ফিলিপিন্সের মিউয়ার্ন স্মাইলস (Maeurn Smiles)। নিজের উষ্ণ ছবি পোস্ট করে লক্ষ লক্ষ টাকা রোজগার করছেন তিনি। একটি প্রাসাদ তৈরির পরিকল্পনাও করে ফেলেছেন।
একটা সময় ছিল, যখন না খেয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটাতে হত মিউয়ার্নকে। অত্যন্ত গরীব ছিল তাঁর পরিবার। বাবা ছিলেন কনস্ট্রাকশন সাইটের ড্রাইভার। সংসার চালাতে তিনি বাড়ি পরিষ্কার করারও কাজ করতেন। মা-ও বেরিয়ে যেতেন কাজে। মাত্র আট বছর বয়স থেকেই দুই ভাই-বোনের খেয়াল রাখতে হত মিউয়ার্নকে।
অভাবের সংসারে কোনওদিন সাদা ভাত ও শুকনো মাছ জুটত, কোনওদিন তাও জুটত না। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে প্রায়ই ধার করে খাবার আনতে হত। সংসার চালাতে মাত্র ১৮ বছর বয়সেই এক বেসরকারি স্কুলে শিক্ষিকার চাকরি নেন মিউয়ার্ন। ইংরাজি পড়াতেন তিনি। তার জন্য ঘণ্টায় পেতেন ১ ডলার অর্থাৎ প্রায় ৭৩ টাকা।
একদিন ‘অনলিফ্যানস’ অ্যাডাল্ট সাইটের কথা জানতে পারেন মিউয়ার্ন। তাতে নিজের অ্যাকাউন্ট খোলেন। কিছু ছবি আপলোড করেন। যা আয় হয়, তা দেখে আপ্লুত হন ২১ বছরের তরুণী। রোজগারের নতুন দিশা খুলে যায় তাঁর সামনে। স্কুলের চাকরি ছেড়ে দেন মিউয়ার্ন। পাকাপাকিভাবে অ্যাডাল্ট সাইটের মডেলিং শুরু করেন।
এখন খাটনি অনেক কম, আর রোজগার অনেক বেশি। ভাই-বোনকে ভাল স্কুলে ভরতি করেছেন মিউয়ার্ন। গ্রামে পাকা বাড়িও তৈরি করেছেন। পাশাপাশি আরও একটি জমি কিনেছেন। যেখানে পরিবারের সকলের জন্য প্রাসাদ তৈরি করার পরিকল্পনাও রয়েছে মিউয়ার্নের। তাঁর এই পেশায় বাবা-মায়ের কোনও আপত্তি নেই বলেই জানান ফিলিপিন্সের তরুণী।
View this post on Instagram
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.