সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এককালে গ্রামবাংলায় হামেশাই দেখা যেত। ইদানীং তাকে দেখতে চিড়িয়াখানায় যেতে হয়। গোটা ভারতেরই চিত্রটা এক। ফলে গোসাপ (Monitor Lizards) বর্তমানে বিলুপ্তপ্রাণী বলে চিহ্নিত। নেপথ্যে চোরা শিকারীর দল। তারা প্রাণীটিকে মেরে তার চামড়া বিক্রি করে দেয়। ওই চামড়া বাদ্যযন্ত্র তৈরিতে কাজে লাগে। মুম্বইয়ের (Mumbai) মালাদ অঞ্চলের বাসিন্দা ভগবান মনদলকরের বাড়িতে হানা দিয়ে তেমনই ১১৭টি গোসাপের চামড়া উদ্ধার করল পুলিশ। যদিও ততক্ষণে তার একটা বড় অংশ দিয়ে ‘ঘুমোট’ তৈরি হয়ে গিয়েছে। ঘুমোট কী?
ঘুমোট এক ধরনের তালবাদ্য। খেজুরের রসের ঠিলার আকারের দেখতে। মাটির তৈরি হলেও মুখটা চামড়ায় আটকানো থাকে। গোসাপের চামড়ায়। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ভগবান ঘুমোট তৈরি করতে ১১৭টি গোসাপের চামড়া ব্যবহার করেছেন। তাদের কাছে খবর ছিল চোরা শিকারীরা বেশ কিছু গোসাপ বিক্রি করেছে মালাদের বাসিন্দা ভগবান মনদলকরের কাছে। তবে পুলিশ ভগবানের বাড়ি পৌঁছনোর আগেই তার অধিকাংশ শুকিয়ে কাঠ। এবং তা দিয়ে ঘুমোট তৈরিও হয়ে গিয়েছে।
এদিন উদ্ধার হওয়া গোসাপের চামড়া ও বেশকিছু ঘুমোট বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। বন দপ্তরের এক আধিকারিক জানান, ঠিক কত টাকা দাম হবে উদ্ধার হওয়া গোসাপের চামড়াগুলির তা এখনই বলা সম্ভব নয়। বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। যদিও ভগবান জানিয়েছেন, বংশ পরম্পরায় তাঁরা ঘুমোট তৈরি করে আসছেন। ঠাকুরদাদার আমল থেকেই এই ব্যবসা করে থাকে তাঁর পরিবার। একটা সময় গোসাপ হত্যা নিয়ে ভারতে আইন লাগু হলেও ব্যবসা ছাড়েননি।
বন্যপ্রাণ নিয়ে হাজারও আইন থাকলেও মাঝেমাঝেই তা পাচারের ঘটনা সামনে আসে। কিছুদিন আগে বন্যপ্রাণী পাচারের (Wildlife Smuggle) অভিযোগ থাইল্যান্ডে (Thailand) গ্রেপ্তার হয় দুই ভারতীয় মহিলা। দুই অভিযুক্তকে ব্যাংকক বিমানবন্দর (Suvarnabhumi Airport in Bangkok) থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, তাদের সঙ্গে থাকা লাগেজ থেকে বিভিন্ন ধরনের ১০৯টি প্রাণী পাওয়া গিয়েছিল। দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বনপ্রাণ সংরক্ষণ আইন-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে থাই পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.