সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৭৬ বছরের এক বৃদ্ধাকে ঠুকরে মারল তাঁরই পোষা মোরগ। ঘটনাটি ঘটেছে অস্টেলিয়ায়। আগস্টে প্রকাশিত ফরেনসিন সায়েন্স নামে একটি মেডিক্যাল জার্নালে এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পরেই হতবাক হয়ে পড়েছেন প্রাণী বিশেষজ্ঞরা। এভাবে একজন মানুষকে যে একটি মোরগ মেরে ফেলতে পারে তা বিশ্বাসই করতে পারছেন না অনেকে।
জানা গিয়েছে, পরিবারের আপত্তি সত্ত্বেও সাধ করেই বাড়িতে একটি মোরগ পুষেছিলেন ৭৬ বছরের ওই বৃদ্ধা। এমনিতে সব ঠিকই ছিল। কিন্তু, কিছুদিন আগে নিজের মুরগি ফার্মে পড়ে থাকা ডিমগুলি কুড়িয়ে এক জায়গায় জড়ো করছিলেন তিনি। সেসময় তাঁর পা জড়িয়ে ধরে ক্রমাগত ঠোকর মারতে থাকে পোষা মোরগটি। এর জেরে ফুটো হয়ে যায় বৃদ্ধার ধমনী। আর সেখান থেকে হওয়া ক্রমাগত রক্তক্ষরণের জেরে মৃত্যু হয় তাঁর।
ওই বৃদ্ধার মৃতদেহের ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসকরা জানান, আগে থেকেই তিনি হাইপারটেনশন, টাইপ-টু ডায়াবিটিস ও শিরাফোলা রোগে আক্রান্ত ছিলেন। যার জন্য মোরগটি ঠুকরে দেওয়ার পরেই তাঁর ক্ষতস্থান থেকে প্রবল রক্তপাত শুরু হয়। শরীর দ্রুত অবশ হতে শুরু করে। আর এভাবে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যান তিনি।
ওই জার্নালে প্রকাশিতে প্রবন্ধে বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন, এই ঘটনা প্রমাণ করে যে বাড়িতে থাকা পোষ্যদের থেকেও ভয়াবহ মৃত্যু হতে পারে। তাই খুব গুরুত্ব দিয়ে অত্যন্ত ছোট প্রাণীকেও সাবধানে পুষতে হবে। তার প্রয়োজন ও মানসিকতা বুঝে চলতে হবে। না হলে ওই বৃদ্ধার মতোই হতে পারে।
তবে কেউ কেউ বলছেন, মোরগের ঠোকরে মারা যাওয়া বা জখম হওয়ার ঘটনা এই প্রথম ঘটেনি। ২০১১ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার এক ব্যক্তির উপর চড়াও হয়েছিল লড়াইয়ে অংশ নেওয়া এক মোরগ। তারপর ডানায় আটকানো ছুরি দিয়ে ওই ব্যক্তিকে হত্যা করেছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.