সংবাাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হেমেন্দ্র কুমার রায়, ত্রৈলক্যনাথ মুখোপাধ্যায় কিংবা শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের গল্প-উপন্যাস নয়, ওটিটি প্লাটফর্মের কোনও ত্রিলার না। বাস্তবে ভূত বা আত্মার বিয়ে দেখতে চলেছে বেঙ্গালুরু! তিরিশ বছর আগে মেয়ের মৃত্যু হয়েছিল৷ মৃত সেই মেয়ের বিয়ে দিতে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়েছে পরিবার৷ মেয়ের আত্মার জন্য উপযুক্ত জামাই আত্মার খোঁজ করা হয়েছে বিজ্ঞাপনে৷ এই ঘটনা কিছুতেই হজম হচ্ছে না অনেকের, কেউ কেউ হেসে কুল পাচ্ছেন না। আরেক দল ভীত। তাঁদের শিড়দ্বারা দিয়ে বইছে ঠান্ডা স্রোত। ব্যাপারটা কী?
পাত্র চাইয়ের চমকে দেওয়া বিজ্ঞাপনের ঘটনা কর্ণাটকের (Karnataka) দক্ষিণ কন্নড় জেলার পুত্তুড়ের৷ আত্মার বিয়ে দেওয়া ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের একটি ধর্মীয় রীতি। এই প্রথাকে স্থানীয়রা বলে থাকেন ‘কুলে মাদিমে’ অথবা ‘প্রেত মাদুভে’৷ সপ্তাহ খানেক আগে সংবাদপত্রে ব্যতিক্রমী বিজ্ঞাপনটি প্রকাশিত হয়। যেখানে বর্ণ, গোত্রের উল্লেখ করে মৃতা মেয়ের জন্য পাত্রের আত্মার খোঁজ করা হয়েছে। এমন পাত্রের দাবি করা হয়, যিনিও তিরিশ বছর আগে প্রয়াত হয়েছেন।
তিরিশ বছর আগে মৃতা পাত্রীর বাড়ির লোক জানান, বিজ্ঞাপন দেখে কমপক্ষে পঞ্চাশ জন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। আগ্রহীদের মধ্যে থেকে কোনও পাত্রকে পছন্দ হলেই রীতি পালনের জন্য দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হবে৷ পাত্রীর পরিবারের এক সদস্য বলেন, আমরা ভেবেছিলাম হয়তো বিষয়টি নিয়ে অনেকে ঠাট্টা করবেন৷ যদিও তেমনটা ঘটেনি। এমনকী অনেকেই এই বিশেষ রীতিটি সম্পর্ক জানতে চেয়ে ফোন করেছেন।
‘কুলে মাদিমে’ অথবা ‘প্রেত মাদুভে’ রীতির উদ্দেশ্য হল অবিবাহিত অবস্থায় মৃত পরিবারের সদস্যদের অপূর্ণ ইচ্ছেপূরণ। পছন্দের পাত্র জুটলে জীবিতদের মতো সব নিয়ম মেনেই নাকি বিয়ে দেওয়া হয়। স্থানীয়রা মনে করেন, মৃতের বিয়ে দিলে জীবিতদের বিয়ের বাঁধাও দূর হয়। এই ধর্মীয় রীতি বাস্তবেই গল্প-উপন্যাস, এমনকী সিনেমার স্ক্রিপ্টকে হার মানায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.