ধীমান রায়, কাটোয়া: করোনা (Coronavirus) সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে প্রধান অস্ত্র মাস্ক, স্যানিটাইজার তো রয়েছেই। তাছাড়া স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত যাঁরা তাঁরা অনেকেই ব্যবহার করেন ফেসশিল্ড। মুখের সামনে ঝোলানো এই ফাইবার গ্লাস করোনা ভাইরাস থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে। তা বলে ফেসশিল্ডের বিকল্প আস্ত হেলমেট? পূর্ব বর্ধমান (Burdwan) জেলার ভাতার থানার বেলডাঙা গ্রামে গেলে দেখা মিলবে এমন এক যুবকের যিনি হেলমেট পরেই সাইকেল চালান।
ওই যুবকের নাম অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়। পেশায় তিনি সংবাদপত্র বিক্রেতা। ফলে রোজ সকালে গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়াতে হয় কাগজ লোকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য। আর এই সাইকেল সফরের পুরোটাই হেলমেট পরে সারেন অমিত। কারণ তিনি মনে করেন, শুধুমাত্র মাস্ক, স্যানিটাইজার করোনা থেকে রক্ষা পেতে যথেষ্ট নয়। কাগজ বিক্রির পেশাগত ব্যস্ততার সময় ছাড়া দোকানবাজার করার সময়ও তাঁর মাথায় থাকে হেলমেট। প্রায় একমাস ধরেই তিনি হেলমেট পরে সাইকেল চালাচ্ছেন।
অমিতের কথায়, “আমাদের এলাকায় প্রায় রোজই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাচ্ছি। আমাকে পেশাগত কারণে বিভিন্ন গ্রামে লোকের বাড়ি বাড়ি ঘুরতে হয়। সবসময় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি। তাই মূলত করোনা ভাইরাসের জন্যই হেলমেট পরা অভ্যাস করেছি। তাছাড়া সাইকেল চালানোর সময় দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। তখন মাথা বাঁচাবে এই হেলমেটই।” স্থানীয়রা অনেকেই হাসাহাসি করলেও অমিতের তাতে ভ্রক্ষেপ নেই। তিনি বলছেন, “লোকে কী বলল তাতে কিছু যায় আসে না। আগে তো জীবন বাঁচুক।”
করোনা ভাইরাসের প্রধান রক্ষাকবচ মাস্কের বহু ডিজাইন বাজারে চলছে। এই পুজোর মরশুমেও ম্যাচিং মাস্ক বাজার মাতাচ্ছে। তবে স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে চিকিৎসক বা কর্মীদের পিপিই কিট বা ফেসশিল্ডও ব্যবহার করতে হয়। তার মধ্যেই অমিতের নতুন ‘আইডিয়া’ চমকে দিয়েছে এলাকার মানুষজনকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.