সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: টানা ৪৬ দিন লকডাউন। স্বাভাবিকভাবেই শখের মোটরবাইকটি দীর্ঘদিন ঘর থেকে বার করতে পারেননি বাঘমুন্ডির লীলাকুমার মাঝি। আর সেই সুযোগেই মোটরবাইকে বাসা বাঁধে চার ফুটের কিং কোবরা! পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে লীলাবাবু সেই বাইক স্টার্ট দিতেই হেডলাইটের পেছন থেকে ফোঁস করে ওঠে বিষধর। নজরে পড়তেই বাইক ফেলে চিল চিৎকার শুরু করেন ওই ব্যক্তি। শেষমেষ বনদপ্তরের আধিকারিকরা গিয়ে সেই সাপটিকে উদ্ধার করে। বিকেল বাড়েরিয়ার জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয় সাপটিকে।
কিন্তু এখনও বিষধরের আতঙ্ক যেন কাটছেই না ওই মোটরবাইকের মালিকের। নিজের শখের বাইক দেখলেই ভয়ে শিউরে উঠছেন তিনি। সেচ বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী লীলাকুমার মাঝি বলেন, “বাইক নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে গেলে কী যে হত কে জানে! এক ছোবলেই হয়তো শেষ হয়ে যেত প্রাণ। মা মনসার কৃপা বেঁচে গিয়েছি। বাইকের হেডলাইটের পেছন দিকে বিষধরটি লুকিয়ে ছিল।”
মোটরবাইকের ভেতরে এমন কিং কোবরা দেখে চোখ কপালে উঠে গিয়েছে বনদপ্তরেরও। গোখরো সাপ যে সেখানে কিভাবে ঢুকল তা বুঝতে পারছেন না তাঁরা। বাঘমুন্ডি বনাঞ্চলের আধিকারিক মনোজ কুমার মল্ল বলেন, “এই লকডাউনে যে আর কী কী দেখতে হবে কে জানে! কপাল ভাল উনি বেঁচে গিয়েছেন। সাপটি প্রায় চার ফুট লম্বা ছিল। একে আমরা স্পেকটেকলড কোবরা বলি। উদ্ধারের পর কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণে রেখে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”
ছবি: অমিত সিংদেও
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.