সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শ্রীরামের জন্মভূমিতে রীতিমতো তাণ্ডব করে বেড়াচ্ছিল এক হনুমান! তবে আপদে-বিপদে যে হনুমানকে হিন্দুরা স্মরণ করে থাকেন, এই হনুমান তার একেবারে বিপরীতধর্মী। এর দৌড়ঝাঁপ, কাণ্ডকারখানায় নাজেহাল হয়ে পড়েছিল কানপুরবাসী। ২৫০ জনকে কামড়ে রীতিমতো এলাকার ত্রাস হয়ে উঠেছিল সে। শেষমেশ তার তাণ্ডব ঠেকাতে আজীবন ‘কারাদণ্ডে’র শাস্তি দেওয়া হল।
উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মির্জাপুর জেলার ঘটনা। বছর তিনের আগে এলাকায় ভীতি ছড়িয়েছিল এক হনুমানের জন্য। স্থানীয়রা তার নাম দেয় কালুয়া। জানা গিয়েছে, এলাকার মোট আড়াইশোজনকে কামড়ে দেয় সে। যাঁদের মধ্যে একজনের মৃত্যুও হয়েছিল। কিন্তু তার জন্য অবশ্য শুধু তাকেই কাঠগড়ায় তোলা উচিত হবে না। এর নেপথ্যে রয়েছে মানুষের কুকীর্তি। স্থানীয় সূত্রে খবর, হনুমানটি এক তান্ত্রিকের পোশ্য ছিল। যিনি নাকি নিয়মিত তাকে মদ খাওয়াতেন। দিনের পর দিন মদ্যপান করে রীতিমতো নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল কালুয়া।
প্রভু থাকাকালীন রোজই মদের নেশায় চূড় হয়ে থাকত সে। তবে কারও কোনও ক্ষতি করত না। কিন্তু তান্ত্রিকের মৃত্যুর পরই বদলে যায় ছবিটা। মদ না পেয়ে একেবারে হিংস্র প্রাণীতে পরিণত হয় কালুয়া। তারপর থেকেই লোকজনকে কামড়াতে শুরু করে। দিনে-দুপুরে হনুমানের দর্শন পেলেই বুকের ভিতরটা ছ্যাঁৎ করে উঠত স্থানীয়দের। এলাকাজুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়। পরিস্থিতি কার্যত হাতের বাইরে যেতে দেখে এগিয়ে আসে বনদপ্তর এবং চিড়িয়াখানার কর্মকর্তারা।
অনেক কষ্টে তাকে ধরে এনে রাখা হয় কানপুর চিড়িয়াখানার খাঁচার ভিতর। ঠিক হয় খাঁচাবন্দি অবস্থাতেই তাকে সুস্থ করার চেষ্টা করা হবে। কিন্তু কালুয়া বদলাল না। চিড়িয়াখানার চিকিৎসক মহম্মদ নাসিরের কথায়, “গত কয়েক মাস ধরে ওকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। কিন্তু স্বভাবে এখনও কোনও বদল আসেনি। আগের মতোই হিংস্র। তিন বছরেও ওর আচরণে কোনও পরিবর্তন না হওয়ায় আমরা ঠিক করেছি, সারাজীবন ওকে ‘গারদে’র ওপারেই রেখে দেওয়া হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.