সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্যবসায় মন্দা তাই কর্মীর প্রভিডেন্ট ফান্ডের বকেয়া মেটাতে পারেননি ব্যবসায়ী। দীর্ঘ বচসা, কথা কাটাকাটির পর কর্মী যা করলেন তা দেখে হতবাক ব্যবসায়ী ও তাঁর পরিবার। বকেয়া না পেয়ে রাগের বশে মালিক ও তাঁর স্ত্রীকে সেক্স টয় (Sex Toy) উপহার দিল কর্মী। এখানেই শেষ নয়, মালিক ও তাঁর স্ত্রীর ফোন নম্বর সোজা ‘এসকর্ট সার্ভিস’ হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেয় সে!
বেঙ্গালুরুতে জমি-বাড়ির ব্যবসা অবিনাশ প্রভুর। তিনি তাঁর এক কর্মী হরিপ্রসাদ যোশীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এফআইআরে তিনি জানিয়েছেন, হরিপ্রসাদ চাইছিল তার পিএফের টাকা যেন অবিনাশ মিটিয়ে দেন। এদিকে লকডাউনের ফলে ব্যবসায় মন্দা চলছে। তাই কর্মীর কথা রাখতে পারেননি তিনি। এমনকী নথিপত্রেও কিছু সমস্যা ছিল। তাই অবিনাশকে অভিযুক্তকে বলেন, লকডাউন-করোনা পরিস্থিতি কেটে গেলে তিনি এ বিষয়টা দেখবেন। তাতে রাজি হয়নি হরিপ্রসাদ। বিষয়টি নিয়ে ক্রমাগত অবিনাশকে উত্যক্ত করত সে। দিন কয়েক আগে ফোন করে ফের টাকা দেওয়ার কথা বলে। সেসময় দু’জনের মধ্যে তুমুল বচসা হয়। অবিনাশ হরিপ্রসাদকে সাফ জানিয়ে দেন, আমি টাকা দিতে পারব না। যা করার করে নাও। এরপরই বিপত্তি বাধে।
অবিনাশের অভিযোগ, অনলাইন এসকর্ট সার্ভিসে তাঁর ও তাঁর স্ত্রীর ফোন নম্বর রেজিস্টার করে দিয়েছে হরিপ্রসাদ। ফলে একাধিক ফোন আসছে। যেখানে অশ্লীল প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, তাঁদের নামে সেক্স টয় বা যৌন পুতুল অর্ডার করে বাড়ি পাঠিয়েছে। এতেই চটেছেন অভিনাশ। পুলিশের কাছে হরিপ্রসাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। তবে এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.