সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশে সন্ধে নামলেই হালকা ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। রাতের দিকে বইছে হিমেল হাওয়া। শীত আসতে আর একেবারেই বেশি দেরি নেই। আর এমন শীতে শুধু নিজেরাই গরম পোশাক পরলে তো চলবে না, ‘গো-মাতা’দের কথাও তো ভাবতে হবে। তাই এবারের শীতে গরুদের জন্য বিশেষ পাটের কোট কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অযোধ্যা পুরনিগম।
হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। যে দেশে একটা বড় অংশের মানুষের মাথার নিচে ছাদ আর দু’বেলা দু’মুঠো খাবার জোটে না, যে দেশে অপুষ্টিতে শিশুমৃত্যুর হার বেড়ে চলেছে, সেই দেশে গরুর পোশাক কেনার উদ্যোগ নিচ্ছে প্রশাসন। ক্ষমতায় আসিন ব্যক্তিদের কাছে গরিব ও দুস্থদের হাতে গরম পোশাক তুলে দেওয়ার তুলনায় গরুকে পোশাক পরানোই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর সেই কারণেই এমন উদ্যোগ।
অযোধ্যার নগরনিগম কমিশনের নিরাজ শুক্লা বলেন, “আমরা গরুদের জন্য বিশেষ কোট তৈরি করছি। মোট তি-চার দফায় সম্পূর্ণ কাজ হবে। প্রথমে বৈশিংপুরের গোশালায় যাওয়া হবে। যেখানে ৭০০ ষাঁড়-সহ মোট ১২০০ গবাদি পশু থাকে। আমরা প্রথম দফায় একশোটি কোট অর্ডার করেছি।” নভেম্বরের শেষ সপ্তাহেই কোটগুলি পৌঁছে যাবে বলে জানাচ্ছেন শুক্লা। এক-একটি কোটের মূল্য ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। বাছুরদের কোট আবার বিশেষভাবে তৈরি করা হবে। কোটে থাকবে তিনটি স্তর। নরম কাপড় ব্যবহার করা হবে, যাতে গরম হয়।
গরু ও ষাঁড়দের পোষাকের ডিজাইনও হবে আলাদা। ষাঁড়রা গায়ে চাপাবে পাটের তৈরি কোট। আর গরুদের কোটটি হবে দুই স্তর বিশিষ্ট। এখানেই শেষ নয়। শীতের হাত থেকে গরুদের রক্ষা করতে গোশালায় বনফায়ারের ব্যবস্থাও থাকবে। অর্থাৎ গোশালার এককোণে রাতে আগুন জ্বালিয়ে রাখা হবে, যাতে ঠান্ডা কম লাগে। এছাড়াও মেঝেতে খড় বিছিয়ে রাখা হবে। ঠান্ডায় মাটিতে বসতে যাতে গরুদের সমস্যা না হয়। মেয়র ঋষিকেষ উপাধ্যায় জানান, গরুদের সবরকম পরিষেবা দিতে তাঁরা বদ্ধপরিকর। গোশালাগুলির পরিকাঠামোর উন্নতির চিন্তা-ভাবনাও করছেন তাঁরা। ফুটপাথবাসীরা কি অস্ফুট স্বরে বলে উঠলেন, সত্য সেলুকাস, কী বিচিত্র এ দেশ!
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.