সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেলেব্রিটিদের পিছনে ফেলে আপাতত নেটদুনিয়ার স্টার এক নবজাতক। কেন? কারণ শুনলে অবাক হবেন। মায়ের পেট থেকে বেরিয়ে কান্নাকাটি তো দূরের কথা, ডাক্তারদের দিকে তাকিয়ে রীতিমতো চোখ পাকাল সে। সেই ছবিই এখন ভাইরাল নেটদুনিয়ায়। সদ্যোজাতের এমন কর্মকাণ্ডেই আপাতত মজে নেটিজেনরা। এমন ঘটনায় অনেকে মজা পেয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোতে। সেখানকার এক হাসপাতালে ১৩ ফেব্রুয়ারি জন্ম নেয় এক কন্যা। জন্মের পর সে ছিল একেবারেই চুপচাপ। টু শব্দটিও বের হচ্ছিল না তার গলা দিয়ে। তাই ডাক্তাররা তাকে সামান্য আঘাত করেন। কোনও সন্তান জন্মানোর পর সে যদি কোনও শব্দ না করে, ডাক্তাররা হালকা চড়চাপড় মারেন তাকে। ব্যাপারটা আর কিছুই নয়। ওই সদ্যোজাতের ফুসফুস সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা, তা দেখার জন্যই এই আঘাত। ছোট্ট প্রাণ এই আঘাতে কেঁদে ওঠে। ডাক্তাররাও সদ্যোজাতের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে অবহিত হন। এক্ষেত্রেও তেমনই করেছিলেন ডাক্তাররা। কিন্তু হয়ে গেল হিতে বিপরীত। কান্না তো দূরের কথা, ডাক্তাররা তাকে চড় মারায় রীতিমতো রেগে গেল সদ্যোজাত। চোখ পাকিয়ে ডাক্তারদের দিকে তাকিয়ে রইল খানিকক্ষণ। সদ্যোজাতের এমন ব্যবহারে অবাক ডাক্তাররাও। তবে প্রথমে ঘাবড়ে গেলেও পরে হেসে ফেলেন তাঁরা।
সেই শিশুকন্যার মা ডায়ান ডি জিসেস বারবোসা তাঁর প্রসবের ঘটনা চিরস্মরণীয় করে রাখতে একটি ফটোগ্রাফার ভাড়া করেছিলেন। নবজাতকের ছবিগুলো তিনিই তোলেন। ফলে শিশুকন্যার ওই রাগী মুখের ছবিও মুহূর্তে ক্যামেরাবন্দি হয়ে যায়। তিনিই ছবিটি পরে সোশ্যাল সাইটে পোস্ট করেন। আর এখন তো সেই ছবি রীতিমতো ভাইরাল। ওই ফটোগ্রাফারই জানান, নবজাতক যখন এমন রেগে গিয়েছিল, তখনও তার নাড়ি কাটা হয়নি। ডাক্তারবাবুরা এতটাই অবাক হয়ে গিয়েছিলেন যে পলকের জন্য ওই অভিব্যক্তিতেই মজে গিয়েছিলেন তাঁরা। অবশ্য পরক্ষণেই নাড়ি কেটে ফেলা হয়। আর সঙ্গে সঙ্গে কান্নাকাটি জুড়ে দেয় সদ্যোজাত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.