সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চাঁদের আলোয় যদি শহরের শোভা উপভোগ করতে হয়, তাহলে জ্যোৎস্না পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া গতি নেই। আর এখন তো বৈদ্যুতিক আলোর দৌলতে চাঁদমামা সদয় হলেও উপায় নেই। জ্যোৎস্নাতেও চোখ ধাঁধিয়ে দেয় ইলেকট্রিক বাতি। কিন্তু এমন যদি হয় যে বৈদ্যুতিক আলোর কোনও বালাই-ই নেই। চাঁদই আলোকিত করে রাখছে চারপাশ? এমনকী অমাবস্যাতেও!
শুনতে অবাক লাগলেও তেমনটাই হতে পারে আর কয়েক বছরের মধ্যেই। তেমনই উদ্যোগ নিচ্ছে চিন। সব ঠিক থাকলে ২০২২ সালের মধ্যেই আকাশ আলোকিত করবে কৃত্রিম চাঁদ। স্যাটেলাইটের সাহায্যে বড় আয়না মহাকাশে স্থাপন করা হবে। সেটি প্রতিফলিত করবে সূর্যের আলো। পৃথিবীর যে প্রান্তে সূর্য থাকবে, সেখান থেকে আলো ওই আয়নায় প্রতিফলিত হয়ে আলোকিত করবে শহরের রাস্তা।
[ গুগল ম্যাপের কেরামতি, পরকীয়ায় লিপ্ত স্ত্রীর খোঁজ পেলেন ব্যক্তি ]
২০২০ সালের মধ্যে এর কক্ষপথ, কোথায় এটি বসানো হবে, এর কন্ট্রোল; সব ঠিক করে ফেলা হবে। চিনের সংবাদমাধ্যমের তরফ জানানো হয়েছে, ২০২২ সালের মধ্যে চিনের রাস্তায় আর আলোর দরকার পড়বে না। এই কৃত্রিম চাঁদের আলোতেই আলোকিত হবে রাস্তাঘাট। তবে এত বড় একটা কাজ নিশ্চয়ই একটা আয়নায় হবে না। জানা গিয়েছে, এর জন্য মোট তিনটি আয়না বসানো হবে মহাকাশে। ৩৬০ ডিগ্রি কক্ষপথে সেগুলিকে স্থাপন করা হবে। যাতে ২৪ ঘণ্টা ক্রমাগত আলো প্রতিফলন করতে পারে তারা। প্রতিফলিত এই আলো ৩ হাজার ৬০০ বর্গ কিলোমিটার থেকে ৬ হাজার ৪০০ বর্গ কিলোমিটার পর্যন্ত আলোকিত করতে পারে। সাধারণ চাঁদের আলো থেকে প্রায় আট গুণ বেশি উজ্জ্বল এই আলো। সাধারণ শহরাঞ্চলে এই আলো ব্যবহার করা হবে। নাহলে প্রকৃতির উপর এর প্রভাব পড়বে, তা কখনওই কাম্য নয়।
তবে চিনই যে প্রথম এমন ভাবনাচিন্তা করেছে, তা নয়। এর আগে রাশিয়া ও আমেরিকাও কৃত্রিম চাঁদের কথা ভেবেছিল। নয়ের দশকে রাশিয়া ব্যানার নামে একটি পরীক্ষা করতে গিয়েছিল। কিন্তু সেই পরীক্ষা সফল হয়নি। এখন চিনের পরীক্ষা সফল হয় কিনা, সেটাই দেখার।
[ নাবালক রাজাকে ফাঁকি দিয়ে কোহিনূর ‘ছিনতাই’ করেছিল ইংরেজরা! ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.