অরূপ বসাক, মালবাজার: ভরদুপুরে বেড রুমে বিছানার পাশেই বসে রয়েছে প্রায় ৬ ফুট লম্বা আস্ত একটা সাপ। যা দেখে রীতিমতো আতঙ্ক গৃহকর্তার মধ্যে। ঘটনাটি মালবাজার মহকুমার ওদলাবাড়ির। ঘটনাচক্রে যার বাড়িতে এই কাণ্ডটি ঘটেছে সেই পুর্ণেন্দু ঘোষ তিনি এলাকায় সুপরিচিত সর্পপ্রেমী হিসেবে।
জানা গেছে, বুধবার ওদলাবাড়ির পুর্ণেন্দু ঘোষের বাড়িতে কেউ ছিল না। সেই সময়ই সাপটি বাড়ির ভিতরে ঢোকে এবং সরাসরি বেডরুমে গিয়ে বিছানায় বসে পড়ে। কিছুক্ষণ পরে, পুর্ণেন্দুর দাদা মাণিক ঘোষ বাড়িতে আসেন। দরজা খুলে ঘরে ঢুকতেই তাঁর চক্ষু চড়কগাছ।
তিনি দেখেন, বিছানার পাশে কুণ্ডলী পাকিয়ে বসে রয়েছে মস্ত বড় সাপ। ঘাবড়ে গিয়ে তড়িঘড়ি দরজা বন্ধ করে পালিয়ে যান মাণিক ঘোষ। খবর দেন, তাঁর ভাই এবং সর্পপ্রেমী পুর্ণেন্দুকে। সঙ্গে সঙ্গে পুর্ণেন্দু দরজা খুলে দেখেন বিছানার পাশেই বসে রয়েছে সাপটি। এরপর পুর্ণেন্দু সাপটি ধরতে গেলে, ঘরের ভেতরে আলমাড়ির পিছনে গিয়ে লুকিয়ে পড়ে সে। বহু চেষ্টা করেও বের করা যাচ্ছিল না সাপটিকে। এরপর সাপটির লেজ ধরে টানতে থাকেন পুর্ণেন্দু। তখন তাঁর হাতে ছোবল মারে সাপটি। হাত দিয়ে গলগল করে রক্ত বের হচ্ছিল পুর্ণেন্দুর।
কিন্তু তাতেও দমে যাননি ওই ব্যক্তি। তারপরও সাপটির লেজ ধরে তাঁকে আলমারির তলা থেকে বের করে আনেন। এরপর সেটিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেন। পুর্ণেন্দুর কথায়, “সাপটির শরীরে যাতে কোনও আঘাত না লাগে, তা নিশ্চিত করতেই অনেক কৌশল করে ধরতে হল। আমার হাতে ছোবল দিয়েছে ঠিকই। কিন্তু সাপটিকে সুস্থ অবস্থায় জঙ্গলে ছেড়ে দিয়েছি। এরপর হাসপাতালে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়েছি। এই সাপের বিষ নেই। তবে একটা ভয় ছিল, বাড়িতে ছোট ছোট বাচ্চা ছিল। বাচ্চাগুলো আজ বাড়িতে থাকলে, সাপটি বাচ্চাদের পেঁচিয়ে ধরতেই পারত। আর তাতেই বিপদ ঘটতে পারত।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.