সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘আমার এই পথ চলাতেই আনন্দ’- পথে যারা আনন্দ খুঁজে নিতে জানেন তাদের থেকে সুখী মানুষ সম্ভবত আর কেউ হয় না। যেমনটা খুঁজে নিয়েছেন মার্কিন মুলুকের গিফোর্ড দম্পতি। না, স্থলপথে নয়, তাদের আনন্দ বলুন, নিরানন্দ বলুন সবই সমুদ্রে। কারণ, সমুদ্রই তাদের সংসার। ওঠা-বসা, চলাফেরা, নাওয়া খাওয়া সবই সমুদ্রের উপর ভাসমান অবস্থায়। একখানি তরী (পড়ুন বোট) নিয়ে জলপথে বিশ্বভ্রমণে বেরিয়ে পড়েছেন এরা।
তবে একা নয়, এই দম্পতির ৩ সন্তানও সঙ্গে রয়েছেন। ২০০৮ সাল থেকে লাগাতার সমুদ্রের উপর ভাসমান অবস্থাতেই দিন গুজরান হচ্ছে জেমি গিফোর্ড আর বেহান গিফোর্ডের। নিজেদের তিন সন্তান এবং ছোট্ট একটি বোট ভাসিয়ে অজানাকে জানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছেন তাঁরা। এখনও পর্যন্ত ঘুরে ফেলেছেন ৪৮টি দেশ। গত বছর অক্টোবর মাসে শেষবার গিয়েছিলেন নিজেদের বাড়িতে। মার্কিন মুলুকে। বাড়ি বললে ভুল হবে, সেটি এখন শুধুই ইট-কাঠ-পাথরের ইমারত। বাড়ি বলতে ওই বোটখানিই। নিজেদের ওই বোটখানি নিয়েই তাঁরা ঘুরে চলেছেন অজানার উদ্দেশ্যে। খোলা আকাশের নিচে, সমুদ্রের নীলাভ আভাই তাদের একমাত্র আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।
কিন্তু ঘর সংসার ছেড়ে নিরুদ্দেশের উদ্দেশে পাড়ি দেওয়াটা কি আদৌ সহজ ছিল। তা মোটেই ছিল না, বলছেন জেমি। তিনি বললেন, “পরিকল্পনা শুরু হয়েছিল ২০০২ সালে। ইচ্ছে ছিল বাড়িঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়ব নিরুদ্দেশে। কিন্তু সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে তা আর সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত দীর্ঘদিন পরিকল্পনা করে ২০০৮ সালে বেরিয়ে পড়ি। পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক দেশ ঘুরে ফেলেছি।” জেমি আর বেহান দু’জনেই মোটা মাইনেতে একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। জীবনের সেই সঞ্চয়ই এখন কাজে লাগছে তাদের। ক্যারিবিয়ান সাগর থেকে শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকার উপকূল ছুঁয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নানা জায়গায় ভেসে চলেছে তাঁদের বোট। জেমির হিসাব বলছে, অন্তত ৪৮টি দেশ দেখে ফেলেছেন তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.