সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এখন সকলের হাতেই স্মার্ট ফোন। সেই ফোনে ইন্টারনেট সংযোগের দৌলতে ‘বড়দের ছবি’ বা ‘অ্যাডাল্ট মুভি’ দেখা এখনকার ছেলেমেয়েদের কাছে জলভাত। কিন্তু, তাঁর ছোটবেলায় তেমনটা ছিল না। বরং ভাইকে সঙ্গে নিয়ে সিনেমা হলে ‘বড়দের ছবি’ দেখতে গিয়ে রীতিমতো বিপাকে পড়তে হয়েছিল। শিশুদিবসে অনুষ্ঠানে সেই মজাদার কাহিনি শোনালেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পরিকর।
[বিধানসভার অধিবেশনে গরহাজির, অভিনেত্রীদের সঙ্গে নাচে ব্যস্ত বিধায়ক]
শুরুটা হয়েছিল সেই আদম-ইভের যুগ থেকে। শত বারণ সত্ত্বেও ‘নিষিদ্ধ’ আপেল খাওয়ার লোভ সামলাতে পারেনি তারা। কথিত আছে, সেই থেকেই নাকি মানুষের মনে কাম, ক্রোধ, লজ্জার মতো সহজাত প্রবৃত্তির জন্ম। কয়েক হাজার বছর কেটে গিয়েছে। রক্ষণশীলতার বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে সমাজ এখন অনেক আধুনিক। কিন্তু, কিছু জিনিসের উপর থেকে নিষিদ্ধ তকমা আজও যায়নি। আর সেই নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি বরাবরই অমোঘ আর্কষণও অনুভব করেছে মানুষ। যেমন কলেজ জীবনে বড়দের চোখ এড়িয়ে সিগারেটে প্রথম সুখটান কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে হলে গিয়ে প্রথম বড়দের ছবি দেখা। ছোটবেলার কথা বললেই অনেকের মনে ভেসে ওঠে এমনই নানা স্মৃতি। আর এক্ষেত্রে তিনিও যে আর পাঁচজনের আলাদা নন, তা বুঝিয়ে দিলেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পরীকর। স্বচ্ছ ভারমূর্তির নেতা হিসেবে পরিচিত তিনি। কিন্তু, ছোটবেলায় এক্স রেটেড ছবি দেখার কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করে নিলেন মনোহর পরীকরও। শোনালেন এক মজাদার কাহিনি।
[প্রচারে ক্লান্ত, কর্মীদের দিয়ে ম্যাসাজ করালেন যোগী সরকারের মন্ত্রী]
মঙ্গলবার পানাজিতে শিশুদিবস উপলক্ষ্যে স্কুল পড়ুয়াদের নানা প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পরীকর। এক স্কুল পড়ুয়া মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চায়, তিনি তখন যুবক ছিলেন, তখন কোন ধরনের ছবি দেখতেন? উত্তরে মনোহর পরিকর বলেন, শুধু সিনেমাই নয়, বড়দের ছবি বা অ্যাডাল্ট সিনেমাও দেখতেন তাঁরা। যৌবনে অ্যাডাল্ট ছবি দেখার মজাদার কাহিনিও শুনিয়েছেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী। মনোহর পরিকর বলেন, ভাইকে সঙ্গে নিয়ে সেইসময়ের একটি জনপ্রিয় অ্যাডাল্ট মুভি দেখতে সিনেমা হলে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, ইন্টারভ্যালে দেখেন, পাশের সিটেই বসে রয়েছেন এক প্রতিবেশী। প্রচণ্ড ভয় পেয়ে মাঝপথেই হল থেকে বেরিয়ে যান মনোহর পরিকর ও তাঁর ভাই অভধূত। তাঁর সংযোজন, বাড়িতে ফিরে মা-কে বলেন, তিনি ও তাঁর ভাই একটি সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন। কিন্তু, সিনেমাটি যে এত খারাপ, তা জানতেন না তাঁরা। তাই মাঝপথে হল থেকে বেরিয়ে এসেছেন। এটাও জানিয়ে দেন, হলে তাঁদের এক প্রতিবেশীও ছিলেন। পরের দিন যথারীতি ফোনে ছেলেদের কীর্তির কথা মনোহর পরিকরের মা-কে জানান ওই প্রতিবেশী। কিন্তু, উলটে সেই প্রতিবেশীটিকেই ধমক খেতে হয়।
[শিক্ষাঙ্গনে লজ্জা! ফাঁকা ক্লাসরুমে ছাত্রীকে নগ্ন করে ভিডিও বহিরাগতদের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.