সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আপনি কি মাঝেমধ্যেই মদ্যপান করেন? মদ খেলে আর কোনও হুঁশ থাকে না? মদের ঘোরে বেসামাল হয়ে নানা কাণ্ড কারখানা ঘটিয়েছেন? তবে গুজরাটের বনসকণ্ঠার খাতিসিতারা গ্রামে ভুলেও যাবেন না। কারণ, সেখানে গিয়ে মাতলামি করলেই মিলতে পারে চরম শাস্তি। আর সেই শাস্তির জেরে হয়তো দেখবেন মদ্যপানের ইচ্ছাও চলে গিয়েছে আপনার।
মূলত আদিবাসী অধ্যুষিত এই গ্রামের বেশিরভাগ মানুষই মদ্যপান করতেন। ২০১৩-১৪ সালে মদ্যপান করে বহু মানুষ মারা যান। এছাড়াও গ্রামবাসীরা বুঝতে পারেন যে দিন যত যাচ্ছে ততই যেন নেশার কুপ্রভাবে প্রায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সব কিছু। মদ্যপানের জেরে ঘরে ঘরে অশান্তি বাড়ছে। এছাড়াও খুন, মারামারির মতো ঘটনাও ঘটছে। ওই ঘটনা থেকে শিক্ষা নেন সাধারণ মানুষ। মদ্যপানের বিরোধিতায় সুর চড়াতে শুরু করেন গ্রামবাসীদের একাংশ। এরপর রীতিমতো আইন করে মদ্যপান বন্ধের দাবি তোলেন তাঁরা।
সেই মতো চালু হয় জরিমানা। খিমজি দুনগাইসা নামে এক গ্রামবাসী বলেন, “মদ্যপ ব্যক্তির কাছ থেকে ২ হাজার টাকা জরিমানা নেওয়া হয়। যারা মদ্যপানের পর অশান্তি করে তাদের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা নেওয়া হয়। জরিমানার পাশাপাশি গ্রামের ৭৫০ থেকে ৮০০ জন বাসিন্দাকে খাওয়াতে হয় পাঁঠার মাংস। তাতেই কমবেশি ২০ হাজার টাকার মতো খরচ হয় মদ্যপদের।”
জরিমানার আইন চালুর পর থেকে ক্রমশই কমছে মদ্যপদের সংখ্যা। গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, শাস্তির নিদানের পর থেকে প্রতি বছর গ্রামে দু-চারজন মদ্যপকে দেখতে পাওয়া যায়। ২০১৮ সালে মদ্যপের সংখ্যা এক্কেবারে তলানিতে ঠেকেছে। মাত্র একজনের জরিমানা হয়েছিল গত বছর। চলতি বছর এখনও পর্যন্ত কোনও মদ্যপের খোঁজ পাওয়া যায়নি। মদ্যপান রোধে এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন প্রায় সকলেই। তাই কাজ শেষ হতে না হতেই পেয়ালা হাতে নেশার সাগরে ডুবে যাওয়ার অভ্যাস থাকলে, এই জায়গায় ভুলেও পা রাখবেন না। নইলে খরচ হতে পারে কয়েক হাজার টাকা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.