সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাঁদরের বড়ই উৎপাত। ‘বাঁদরামি’তে তিষ্ঠনো দায়। কোভিড কেয়ার সেন্টারেও রেহাই নেই। ঠিক পিছু নেবে বাঁদরের দল। করোনার কামড় নাকি বাঁদরের আঁচড় – কোনটা সামলাবেন? তা ভেবেই কূলকিনারা পান না রোগীরা। দিল্লির (Delhi) ছাতারপুরের এক কোভিড কেয়ার সেন্টারের আশেপাশের পরিবেশ এমনই ভয়ের। তাহলে উপায় কী? উপায় ঠিক বের করেছে ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশ(ITBP)। সর্দার প্যাটেল কোভিড কেয়ার সেন্টারের সামনে বসানো হয়েছে বাঁদরের শত্রু বেবুনদের। না, সত্যি বেবুন নয়। বেবুনের বড় কাটআউট রাখা হয়েছে। যা দেখে মনে হবে, সত্যিকারের বেবুন এসে সেন্টারের সামনে পাহারা দিচ্ছে!আপাতত এই অস্ত্রেই বাঁদরদের আটকানো সম্ভব হচ্ছে।
আসলে, দিল্লির বেশিরভাগ কোভিড (COVID-19) কেয়ার সেন্টারের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন জওয়ানরা। ছাতারপুরের ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট বড়সড় সেন্টারটি দেখাশোনা করছে আইটিবিপি। কিন্তু সেন্টারের আশেপাশে এতই বাঁদরের উৎপাত যে তাঁরা ঠিকমতো কাজ করতে পারছেন না। শুধু তাই নয়, পিপিই কিট পরে যাঁরা কোভিড সেন্টারে কাজ করতে আসছেন, তাঁদেরই রেহাই নেই। এরপরই বাঁদরামির মোকাবিলায় বুদ্ধি আঁটেন তাঁরা। কোভিড সেন্টারের সামনে সুন্দর দুটি বেবুনের (Baboons) কাটআউট বসিয়ে দেন। দেখে মনে হয়, অবিকল সত্যিকারের দুই বেবুন এসে বসেছে সেন্টারের গেটে, পাহারাদার হয়ে। শুধু তাই নয়, বেবুনদের কাটআউটে আরও বাস্তবতা আনতে চলনশীল করে তোলা হয়েছে। বাঁদররা যাতে সত্যি ভয় পেয়ে দূরে সরে যায়।
কিন্তু তাতে কতটা কাজ হল? এই প্রশ্ন তুললে তো বলতেই হয়, জওয়ানদের পরিকল্পনা প্রায় ১০০ শতাংশই সফল। কারণ, ওই কাটআউট বসানোর পরপর নাকি কোভিড কেয়ার সেন্টারের ধারেকাছে ঘেঁষেনি বাঁদরের দল। নিশ্চিন্তে কাজ করতে পারছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা, ভয়হীন করোনা রোগীরাও। বোঝা গেল, বাঁদরকে ভয় দেখানোর জন্য প্রয়োজন শুধু একটু বুদ্ধি। তাহলেই কেল্লাফতে।’বাঁদরামি’ করার সুযোগই পাবেন কপিকুল। করোনা কিংবা জওয়ানদের লাঠির ভয় না থাক, অন্তত শত্রু বেবুনের ভয়ে তো বাঁদরের দল দূরে রইল। আইটিবিপি জওয়ানরাও বোঝালেন, শুধু দেশরক্ষা করাই তাঁদের কাজ নয়। দেশবাসীর যে কোনও সুরক্ষাতেই তাঁরা রয়েছেন। কখনও শক্তি দিয়ে, তো কখনও বুদ্ধি দিয়ে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.